ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সুভানন চন্দ বলেন, রাধিকাপুর থেকে শিলিগুড়ি যাতায়াতের ডিএমইউ ট্রেনের পরিষেবার বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানিয়েছেন, রায়গঞ্জ স্টেশন থেকে সকাল ৭ টা ৫৭ মিনিটে ছেড়ে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে ডিএমইউ ট্রেনটি রওনা হলেও প্রতিদিন মাঝপথে বিভিন্ন স্টেশনে দীর্ঘ সময় ধরে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে প্রায় তিনঘণ্টার যাত্রপথ পাড়ি দিতে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা সময় লেগে যায়। একই অবস্থা হয় শিলিগুড়ি থেকে রায়গঞ্জ হয়ে রাধিকাপুর বাংলাদেশ সীমান্ত স্টেশনে পৌঁছতেও। রাত সাড়ে দশটার মধ্যে রাধিকাপুরে পৌঁছনোর কথা থাকলেও মাঝে মধ্যেই রাত ১২-১টার আগে ট্রেনটি রাধিকাপুরে পৌঁছয় না। রায়গঞ্জ থেকে প্রতিদিন কয়েকশ’ যাত্রী সকালের ট্রেনে শিলিগুড়ি যান। কিন্তু কোচ কম থাকায় অধিকাংশ দিনই যাত্রীরা বসার জায়গা পান না। অনেকেই শিশু, মহিলা, বৃদ্ধদের নিয়ে ট্রেনে যেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কিন্তু ওই ট্রেনে যেতে গেলে যাত্রীদের তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়। নোংরা জমে থাকায় শৌচাগারের দিকে যাওয়ার উপায় নেই। শৌচাগারে মেলে না জলও। যাত্রীরা বলেন, অধিকাংশ দিনই শিলিগুড়ি থেকে ট্রেনটি গভীর রাতে রায়গঞ্জে এসে পৌঁছয়। তখন যাত্রীদের বাড়ি ফিরতে সমস্যায় পড়তে হয়। টোটো সামান্য কিছু পাওয়া গেলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টোটো চালকরা ভাড়াও বাড়িয়ে দেন। ১০ টাকার ভাড়া গভীর রাতে ১০০ টাকা হয়ে যায়। আবার শহরের অনেক জায়গায় টোটো চালকরা মোটা ভাড়ার বিনিময়েও যেতে চান না। শিশু, বৃদ্ধ, মহিলা যাত্রীদের নিয়ে ঘরে ফিরতে ডিএমইউ ট্রেনের যাত্রীদের নাজেহাল হতে হয়। যাত্রীদের দাবি, সকালের দিকে শিলিগুড়ি যাওয়ার সময় খানিকটা এগিয়ে নিয়ে এলেও শিলিগুড়ি থেকে রাধিকাপুর ফেরার সময় এগিয়ে নিয়ে এলে দুর্ভোগ এড়ানো যেতে পারে।
রায়গঞ্জ স্টেশনের কনসালটেটিভ কমিটির সদস্য তথা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর ডিষ্ট্রিষ্ট রেলওয়ে ইউজার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তপনকুমার চৌধুরী বলেন, রাধিকাপুর থেকে শিলিগুড়ি যাতায়াতের একটি মাত্র ট্রেন প্রতিদিন চলাচল করে। অধিকাংশ দিনই ট্রেনটি গভীর রাতে রাধিকাপুরে পৌঁছনোয় সেখানে ট্রেনটি সাফাই করা হয় না। দুপুরের পর শিলিগুড়িতে ট্রেনটি গেলেও নিয়মিত সাফাই না হওয়ায় ট্রেনের শৌচাগারগুলি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কোনওদিন সাতটি কোচ, কোনওদিন আটটি, আবার কখনও দশটি কোচ দিয়েও ডিএমইউ চালানো হয়। শিলিগুড়ি যাতায়াতের একমাত্র ট্রেনটির পরিষেবা নিয়ে রাজনৈতিকমহলেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কালিয়াগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তপন দেব সিংহ বলেন, রেল দায়সারা পরিষেবা দিচ্ছে। রাতের বেলা অনেক কোচে আলো জ্বলে না। ট্রেনে কোচের সংখ্যা কম থাকায় অনেকেই বসার জায়গাটুকু পান না। বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি বলেন, ডিএমইউ ট্রেনটি এখন শিলিগুড়ি যাতায়াতের একমাত্র ট্রেন। সেখানে যাত্রী পরিষেবা নিয়ে সমস্যার বিষয়টি জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনে রেল কর্তাদের হস্তক্ষেপ চাইব।