বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, মঙ্গলবার জেলা সফরে এসে বহু অপেক্ষার দুইটি সেতুর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলাবাসীর দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হবে এই উদ্বোধনের মাধ্যমে।
উল্লেখ্য, মালদহের মানিকচক ব্লকের ভূতনি চরটি এক সময় অত্যন্ত দুর্গম ছিল। মালদহের মূল ভূখণ্ড থেকে ভূতনিতে যাতায়াত ছিল প্রায় দুঃস্বপ্নের মতো। বামফ্রন্ট সরকারের ৩৪ বছরের আমলে এই সেতু তৈরির প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে বারবার আলোচনা করা হলেও তা বাস্তবে রূপায়িত হয়নি। ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে ভূতনিতে বহু প্রার্থিত সেতু তৈরির কথা ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই শুরু হয়ে যায় নির্মাণকাজ। স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন ভূতনির বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে ভূতনির পুলিস ফাঁড়িটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ থানাতেও উন্নীত করে রাজ্য সরকার। বাকি ছিল এই সেতুর। শেষ পর্যন্ত উদ্বোধন হচ্ছে তার।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিকচকের শঙ্করীটোলা ঘাটের কাছ থেকে প্রায় ১.৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুটি তৈরি করতে রাজ্য সরকার ব্যয় করেছে ১৩১ কোটি টাকারও বেশি। অ্যাপ্রোচ রোড ধরলে এই সেতুর দৈর্ঘ্য ২ কিলোমিটারের কিছুটা বেশি হবে বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এই সেতুর উদ্বোধন করার ফলে উপকৃত হবেন দুই পাড়ের কয়েক লক্ষ মানুষ।
ভূতনির উত্তর চণ্ডীপুরের বাসিন্দা ধীরেন মণ্ডল, নৃপেন মণ্ডল, সুরেন মণ্ডল প্রমূখের বক্তব্য, ছোটবেলা থেকে অনেক কষ্ট করে মালদহে পৌঁছতে হত। ভূতনিতে আসার নাম শুনলে শিউরে উঠতেন অনেকে। এবার নতুন দিন আসছে। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের যা উপকার করে দিলেন, আপামর ভূতনিবাসী তা চিরদিন কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবেন।
একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ থেকে বিহারের কাটিহারের দূরত্ব প্রায় ৯০ কিলোমিটার কমে যাবে নাককাট্টির কাছে ফুলহারের উপর পূর্ত সড়ক বিভাগ (জাতীয় সড়ক বিভাগ) কর্তৃক সেতুর মাধ্যমে। মঙ্গলবার এই সেতুটিরও উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই সেতু তৈরির জন্য রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে ২৮৯ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকারও বেশি। অ্যাপ্রোচ রোড সহ সেতুটির দৈর্ঘ্য ২.৬৪ কিলোমিটার। পূর্ত সড়ক বিভাগের পক্ষে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার জগন্নাথ সামন্ত জানান, নির্ধারিত সময়ের আগেই সেতুটি তৈরির কাজ শেষ হয়েছিল। এখন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে এই বহু আকাঙ্ক্ষিত এই সেতুটি। বাংলা ও বিহারের অসংখ্য মানুষের উপকার হবে এই সেতুর মাধ্যমে।