কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
সৌরভবাবু বলেন, উত্তরবঙ্গ উৎসবকে কেন্দ্র করে চলতি মাসের ২১ তারিখে মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়িতে আসছেন। সেদিনই উৎসব মঞ্চ থেকে তিনি ওই সেতুর উদ্বোধন করবেন। একই সঙ্গে নৌকাঘাট ও মেডিক্যাল মোড় এলাকার সৌন্দর্যায়নের কাজেরও শিলান্যাস করবেন। এসজেডিএ’র বরাদ্দে তৈরি হওয়া একাধিক রাস্তা ও নয়া প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। পঞ্চম মহানন্দা সেতু দিয়ে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক যান চলাচল শুরু হয়েছে। এখন অপেক্ষা উদ্বোধনের।
শিলিগুড়ি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে মহানন্দা নদী। শহরের সঙ্গে মাটিগাড়া ব্লকের তুম্বাজোত সহ একাধিক গ্রামের যোগাযোগের মাধ্যম ছিল এখানে বাশেঁর সাঁকো। বছরের অন্যান্য সময় খুব একটা সমস্যা না হলেও বর্ষা আসতেই জলের তোড়ে সাঁকো ভেসে যেত। সেসময় বাসিন্দাদের নৌকা অথবা ঘুরপথে যাতায়াত করতে হতো। এই সমস্যা সমাধানে বাম আমলে সেতুর তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর ২০১২ সালে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। যদিও অ্যাপ্রোচ রোডের জন্য জমি জটে এক বছরের মাথায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে এসজেডিএ’র তৎপরতায় দেড় বছরের মাথায় ফের কাজ শুরু হয়। তবে নানা সমস্যায় ফের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০১৬ সালের মাঝামাঝিতে এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান হন সৌরভবাবু। তিনি দায়িত্ব পেয়েই সেতু নির্মাণের কাজে জোর দেন। নির্মীয়মাণ সেতুর মান যাচাইয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল দিয়ে সমীক্ষা করানো হয়। পরে সব দিক যাচাই করে বরাতপ্রাপ্ত সংস্থাকে দিয়ে কাজ শুরু হয়। গত ডিসেম্বরে ওই কাজ শেষ হয়েছে। এরপরেই পরীক্ষামূলক ভাবে যান চলাচল শুরু হয়। এদিন সেতু পরিদর্শনের সময় সংস্থার চেয়ারম্যানের সঙ্গে দপ্তরের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সৌরভবাবু বলেন, ১০ কোটি ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটি তৈরি হওয়ায় মহানন্দা নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। একইসঙ্গে শিলিগুড়ির যানজট সমস্যা কিছুটা হলেও কমবে।