কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
নর্থবেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুরজিৎ পাল বলেন, শিল্পের করার ক্ষেত্রে এখন পরিকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে। আগের চেয়ে রাজ্য সরকার এখন অনেক তৎপর। সেই কারণে শিল্পোদ্যোগীরা বিনিয়োগে আসছেন। অন্য রাজ্যের শিল্পোদ্যোগীরা এখানে বিনিয়োগ করছেন। একে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দিল্লির কুড়কুড়ের মতো কোম্পানিও আসতে চাইছে। কয়েকটি জমি তারা দেখতে চলতি মাসেই আসছে। গত কয়েক মাসে শিল্প করার জন্য পরিকাঠামোর যে উন্নয়ন হয়েছে তা আমরা বাইরের শিল্পোদ্যোগীদের কাছে পৌঁছে দিতে পারছি। তাতে তারা উৎসাহিত হচ্ছেন। বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এখানে ই-রেডিয়েশন প্লান্ট তৈরির জন্য আমরা ভিন রাজ্যের শিল্পোদ্যোগীদের আহ্বান করেছি।
ক্ষুদ্র, ছোট, মাঝারি শিল্প উদ্যোগ দপ্তরের জয়েন্ট ডিরেক্টর দীপঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, এই অল্প সময়ের মধ্যে কয়েকটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি হয়েছে। শিল্প করার ক্ষেত্রে অনুমতি নিতে কিছু দীর্ঘসূত্রিতা ছিল। সেগুলি মেটানো হয়েছে। পদ্ধতিও শুধু সরল করা নয়, এক ছাতারতলায় সমস্ত কিছু হচ্ছে। সরকার শিল্পোদ্যোগীদের সবরকমভাবে সাহায্যের জন্য তৎপর। পরিকাঠামোর উন্নয়ন তো দ্রুত গতিতে করা হচ্ছে। যার ফলে প্রচুর বিনিয়োগ করছেন। উল্লেখযোগ্যরকম ভাবে ভিন রাজ্যের শিল্পোদ্যোগীরাও আসছেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি মাপের শিল্প নতুন দিশা দেখাচ্ছে।
গত এক বছরের মধ্যে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার খাপরাইলে শিল্পতালুকে সাড়ে পাঁচ একর জায়গায় শিল্প করতে ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। ফাঁসিদেওয়ার লিউসিপুকুরিতে নতুন করে দুই বিনিয়োকারী ২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। এখানে দুগ্ধজাত প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রি করেছেন। খাপরাইলে পাঁচ একর জায়গায় আরও ২৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। ওয়াটার ট্যাঙ্ক তৈরি করবে সংস্থাটি। রাজগঞ্জে এক বছরে ১৭ জন উদ্যোগপতি সবমিলিয়ে প্রায় ৯০ কোটি টাকা মতো বিনিয়োগ করেছেন। মালদহে পাঞ্জাবের শিল্পোদ্যোগী প্রথম ধাপে ১৩২ কোটি টাকা ও পরে ২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। আমবাড়ি শিল্পতালুকে বিহারের শিল্পোদ্যোগী ৪০ কোটি টাকার বিনিয়োগ করেছেন। রাজগঞ্জে উত্তরপ্রদেশের এক বিনিয়োগকারী ৫৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন গত এক বছরের মধ্যে।
শিল্পোদ্যোগীদের বক্তব্য, আগের চেয়ে এখন শিল্প করার ক্ষেত্রে পরিকাঠামো এখন অনেক উন্নত হয়েছে। সড়ক যোগাযোগ, অন্যান্য সুযোগসুবিধা অনেক ভালো হয়েছে। শিল্প করার ক্ষেত্রে সরকারি অনুমতির বিষয়েও রাজ্য সরকার এখন অনেক বেশি তৎপর। তা ছাড়া পরিবেশ শিল্পের পক্ষে থাকায় উদ্যোগপতিরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ভিন রাজ্যের শিল্পোদ্যোগীরা খোঁজখবর নিচ্ছেন। যেটা আগে কখনও ছিল না। আগের চেয়ে শিল্পের পরিবেশ অনেক উন্নত হয়েছে।