কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
রাজ পুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, সরস্বতী পুজোর দিন পলাশ তোলার অনুষ্ঠানটিতে দুয়ারবক্সি থাকতেন। তবে তাঁর প্রয়াণের পর কে পরবর্তী দায়িত্ব নেবেন সেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে। প্রয়াত অমিয়বাবুর কন্যা অজন্তা সরকার বলেন, বাবা পলাশ তোলার অনুষ্ঠানটি করতেন। তবে পরবর্তী দুয়ারবক্সি কে হবেন সেব্যাপারে আমাদের এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে এক্ষেত্রে কাকাকে ওই পদে বসানো হলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। অমিয়বাবুর ভাই অজয় দেববক্সি বলেন, দাদা বেঁচে থাকাকালীনও আমি দেবোত্তর ট্রাস্টের একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। তবে সামনেই সরস্বতী পুজো। তখন পলাশ তোলার অনুষ্ঠান হবে। সেখানে রাজ প্রতিনিধি হিসাবে দুয়ারবক্সিকে প্রয়োজন। আমাকে দুয়ারবক্সি করা হবে কিনা সেব্যাপারে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
গত দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন দেবীবাড়িতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন অমিয়বাবু। তখনই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। রাজ আমলের সঙ্গে বর্তমান সময়ের কার্যত সেতুবন্ধনের কাজ করতেন অমিয়বাবু। সেই সেতু চিরদিনের জন্য মুছে গিয়েছে। কিন্তু রাজ আমলের প্রথা মেনে রাজ প্রতিনিধি হিসাবে মদন মোহন মন্দির, দেবীবাড়ির নানা অনুষ্ঠানে দুয়ারবক্সির প্রয়োজন রয়েছে। সরস্বতী পুজোর দিন পলাশ তোলার অনুষ্ঠানেও দুয়ারবক্সিকে অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু তিনি তো নেই। তবে কাকে দেওয়া হবে এই দায়িত্ব? এই প্রশ্নটাই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে দেবোত্তর ট্রাস্টের অন্দরে। মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, একটা সময় জেলাশাসকের দপ্তর সংলগ্ন এলাকায় একটি পলাশ গাছ ছিল। সেই গাছ থেকেই পলাশ ফুল এনে পলাশ তোলার অনুষ্ঠান হতো। কিন্তু বর্তমানে আনন্দময়ী ধর্মশালা চত্বরে থাকা পলাশ গাছ থেকেই ফুল সংগ্রহ করা হয়। দুয়ারবক্সি আবীর নিয়ে পলাশ গাছের নীচে সরস্বতী পুজোর দিন দিয়ে আসেন। কার্যত দুয়ারবক্সি এদিন পলাশকে আমন্ত্রণ করেন। পাশাপাশি ওই গাছ থেকে তোলা পলাশ ফুল মন্দিরে অত্যন্ত সযত্নে দোল পর্যন্ত রেখে দেওয়া হয়। সেই পলাশ ফুলই দোলের সময় ব্যবহার করা হয়। এদিকে মদন মোহন মন্দিরের অন্যতম বড় উৎসব দোলযাত্রা। সেক্ষেত্রে তার আগের ধাপ হিসাবে পলাশ তোলার অনুষ্ঠানটি পালিত হয়। সে কারণেই মদন মোহন মন্দিরে দুয়ারবক্সির উপস্থিতিতে পলাশ তোলার এই অনুষ্ঠানকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই গণ্য করা হয়। এতদিন অমিয়বাবুই এই দায়িত্ব পালন করতেন। কিন্তু কে হবেন পরবর্তী দুয়ারবক্সি? সেব্যাপারে দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে দেবোত্তর ট্রাস্ট।
এদিকে অমিয়বাবুর কোনও পূত্র সন্তান নেই। সেক্ষেত্রে ৭৬ বছর বয়সি অমিয়বাবুর ভাই অজয়বাবুকে পরবর্তী দুয়ারবক্সির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। আগেও অমিয়বাবুর শারীরিক অসুস্থতার সময় অজয়বাবু এই ধরনের দায়িত্ব পালন করেছেন। ট্রাস্ট দ্রুত বোর্ড মিটিং করে এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।