কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
এবিষয়ে রতুয়া-২ নম্বর ব্লকের কোকলামারি প্রমীলাবালা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অংশুমান ঝা বলেন, আমাদের স্কুল ক্যাম্পাসে ব্লকের শিক্ষানুরাগীরা কলেজ স্থাপনের দাবিতে দরবার করেন। এনিয়ে আমরাও বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করেছিলাম। তারা আমাদের একটি প্রস্তাব জমা দিতে বলেছিল। সেই মতো আমাদের স্কুলের একটি জমি স্কুল কর্তৃপক্ষ কলেজের নামে দিতে চেয়েছে। কলেজ স্থাপনের দাবিতে আমরা একটি প্রস্তাব ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে রাজ্যে পাঠিয়েছি। শিক্ষা দপ্তরের প্রস্তাব গিয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদন হলে ওই জমিতে কলেজ তৈরিতে কোনও অসুবিধা হবে না। এতে ব্লকের অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষানুরাগীদের সম্মতি রয়েছে। কলেজ তৈরির জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এবিষয়ে মালদহ জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের সামসুল হক বলেন, রতুয়া-২ নম্বর ব্লকে কোনও কলেজ নেই। তাই পড়ুয়াদের সুবিধার্থে আমরা উচ্চশিক্ষার জন্য সেখানে কলেজ স্থাপন করতে চাইছি। এনিয়ে আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমার নির্বাচিত এই এলাকার মধ্যে কোকলামারি প্রমীলাবালা হাই স্কুলের জমিতে কলেজ গড়ার মতো উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। সে জমি প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করে একটি প্রস্তাব স্কুল কর্তৃপক্ষ রাজ্যে পাঠিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও আবেদন জানানো হয়েছে। এই কলেজ অনুমোদন হয়ে গেলে ব্লকের পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার নতুন দুয়ার খুলে যাবে।
রতুয়া-২ নম্বর ব্লকে কোনও কলেজ নেই। যার জেরে উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ হওয়ার পর পড়ুয়াদের ব্লক থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে সামসি কলেজে যেতে হয়। অনেককে আবার আরও দূরে মালদহ অথবা চাঁচল কলেজে ভর্তি হতে হয়। পড়ুয়াদের দূরবর্তী কলেজে যাতায়াতের পথে সমস্যা হচ্ছে। এতে খরচ বাড়ার পাশাপাশি ধকলও হয়। এই কারণেই এলাকায় একটি কলেজ স্থাপনের দাবি উঠেছে। শিক্ষানুরাগী মহলের প্রস্তাব মতো কোকলামারি প্রমীলাবালা হাই স্কুলের ২২ বিঘা জমিতে কলেজ স্থাপন হলে উচ্চশিক্ষা নিতে পড়ুয়াদের সমস্যা মিটে যাবে।