শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে কারপালের মেয়ে রমি সান্ধু বলেন, ‘আমার মা ও তাঁর অবদানের জন্য আমি গর্বিত। গত ৫০ বছর ধরে তিনি তরুণ সমাজকে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন। তাঁকে মনে রেখেই পরবর্তী প্রজন্মের তরুণীরা মেট্রোপলিটন পুলিসে যোগ দিচ্ছেন।’ যদিও, ৩০ পূর্ণ হওয়ার আগেই কারপালের জীবন থেমে গিয়েছিল। ১৯৭৩ সালে খুন হন তিনি। ১৯৪৩ সালে পূর্ব আফ্রিকার জাঞ্জিবারের এক শিখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কারপাল। ১৯৬২ সালে লন্ডনে এসে এনফিল্ডের চেজ ফার্ম হাসপাতালে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। ১৯৭১ সালে মেট্রোপলিটন পুলিসে যোগ শিখ তরুণী। সেইসঙ্গে ব্রিটেনের প্রথম এশীয় মহিলা পুলিসকর্মী হিসেবে আত্মপ্রকাশ হয় তাঁর। লেটনে বদলি হয়ে যাওয়ার আগে হর্নসেতে কাজ করেছেন কারপাল।তিনি যখন পুলিস প্রশাসনে যোগ দেন, তখন পুলিসের ভিতরে ও বাইরে চরম বৈষম্য। সেই সময়ে একজন মহিলার পুলিসে যোগ দেওয়া ছিল অত্যন্ত বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত। তাঁর পরিবার ও সম্প্রদায় ছিল ঘোর বিরোধী। এমনকী, স্বামীও তাঁর পুলিসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তে প্রবল আপত্তি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, না এটা কোনও ভারতীয়র কাজ, না মহিলাস্বরূপ। সামলেছেন বহু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। তার মধ্যে শরণার্থী সমস্যা মোকাবিলা ছিল অন্যতম। কারপালের স্মৃতিচারণায় তাঁর চিফ সুপারিটেনডেন্ট বলেছেন, শুধু প্রশাসন সামলানো নয়, উনি পুলিস আধিকারিকদের এশীয় উচ্চারণ শেখাতেন।
এ প্রসঙ্গে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হেলেন বল বলেছেন, উনিই হচ্ছেন অগ্রদূত। সময়ের থেকে বহু এগিয়ে ছিলেন তিনি। মেট্রোপলিটন পুলিসে তাঁর যোগ দেওয়া ছিল সাহসী সিদ্ধান্ত। ১৯৭১ সাল থেকে যে সমস্ত তরুণী পুলিসে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের রাস্ত পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন কারপাল। অন্যদিকে, মেট্রোপলিটন পুলিসের শিখ সংগঠনের প্রধান রবজিৎ গুপ্ত বলেছেন, লন্ডনের শিখ সম্প্রদায়ের যাবতীয় বাধা ভেঙে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন তিনি। কারপালকে তাঁর সময়ের অগ্রদূত হিসেবে ব্রিটেনবাসী মনে রাখবেন। ১৯৭১ সালে লন্ডনে ৭০০ মহিলা পুলিসকর্মী ছিলেন। বর্তমানে সেই সংখ্যা আট হাজার। আর মেট্রোপলিটন পুলিসের আধিকারিকদের মধ্যে ২৭ শতাংশই মহিলা। এ প্রসঙ্গে কমিশনার ডেম ক্রেসিন্ডা ডিক বলেছেন, লন্ডনের পুলিসকে বিশ্বের সবথেকে বিশ্বাসযোগ্য বাহিনীতে পরিণত করতে ‘বেম’ গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের নিয়োগ করা হচ্ছে। সংখ্যালঘু প্রতিনিধিত্বের অভাবে ব্রিটেন পুলিস আগেই সমালোচিত হয়েছিল। আর সেকারণেই বৈষম্য দূর করে বৈচিত্র বজায় রাখতে মেট্রোপলিটন পুলিস সকলকে শামিল করার উদ্যোগ নিয়েছে।