কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
ইরানের সরকারি টিভি চ্যানেলে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি জানিয়েছেন, পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী গবেষণায় অনেক নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতাম। কিন্তু ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান আর কোনও বিধিনিষেধ মেনে চলতে বাধ্য নয়। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে সোমবার রাজধানী তেহরানে জেনারেল সোলেমানিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নেমেছিল রাস্তায়। মরদেহের সামনে প্রার্থনা করতে গিয়ে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন ইরানের তথা শিয়াদের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই। ছিলেন প্রেসিডেন্ট রৌহানিও। খামেনেইয়ের পাশে দাঁড়িয়েই সোলেমানির স্থলাভিষিক্ত হওয়া এসমাইল ঘানি প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছেন। একই সুর শোনা গিয়েছে সোলেমানির মেয়ে জেয়নাবের গলাতেও। ঘানির বিরুদ্ধে ২০১২ সাল থেকেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা।
ইতিমধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার আশঙ্কায় মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করেছে সৌদি আরবে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। ইরানের সেনাবাহিনীর এরোস্পেস বিভাগের কর্তা জেনারেল আমির আলি হাজিজাদে জানিয়েছেন, একটিমাত্র হামলাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না ইরান। লেবাননে ইরান সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠী হেজবোল্লাও সোলেমানির মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। সব মিলিয়ে যুদ্ধের ইঙ্গিত স্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে ইরানকে পরমাণু চুক্তি খারিজ না করার আর্জি জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনার আশ্বাস দিয়েছে তেহরান। তবে তারা রাষ্ট্রসঙ্ঘের নজরদারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করবে। পশ্চিম এশিয়ার সঙ্কট নিয়ে সোমবার ব্রাসেলসে সদরদপ্তরে বৈঠকে বসেন ন্যাটো রাষ্ট্রদূতরা। এর আগে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টোল্টেনবার্গ।
অন্যদিকে, ইরাকের পার্লামেন্টে মার্কিন সেনাকে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাবনা পাশ হয়েছে। বিলটি সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বর্তমানে ৫ হাজার ২০০ মার্কিন বাহিনী রয়েছে সেখানে। সোলেমানির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে ইরাকেও। এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প সাফ জানিয়েছেন, ইরাকে তাঁদের বায়ুসেনা ঘাঁটি গড়তে কয়েকশো কোটি ডলার খরচ হয়েছে। যা ফেরত না পেলে মার্কিন সেনা সরানো হবে না। ইরাক বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ না করলে তাদের বিরুদ্ধে এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে, যা ওরা আগে কখনও দেখেনি।