কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
সোলেমানির মৃত্যুর পর থেকেই ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এর চরম বদলার জন্য আমেরিকা প্রস্তুত থাকুক। খামেনেইয়ের এই হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাগদাদে মার্কিন বায়ুসেনা ঘাঁটি ও দূতাবাসের সামনে রকেট হামলা হয়। যদিও ইরান বা আমেরিকা কেউই সরকারিভাবে এই হামলার কথা স্বীকার করেনি। তারপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্যুইটারে লেখেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি নির্দিষ্ট সম্পত্তির উপর হামলা চালানোর কথা প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে ইরান। তাও আবার এমন একজন জঙ্গির মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে, যে কি না হাজারো মার্কিন নাগরিক এমনকী, কয়েকশো ইরানি বিক্ষোভকারীর হত্যার জন্যও দায়ী। ইতিমধ্যেই ওরা আমাদের দূতাবাসে হামলা চালিয়েছে। আরও কয়েকটি জায়গায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠা ছাড়া আর কিছুই করেনি ইরান।’ এরপরই তাঁর সংযোজন, ‘প্রথমে ওরা (ইরান) আক্রমণ করেছে, তারপর আমরা প্রত্যাঘাত করেছি। ফের যদি ওরা হামলার ছক কষে... যেটা না করার পরামর্শই ওদের দেব... তাহলে আমরা এত তীব্র আঘাত হানব, যার স্বাদ আগে কখনও পায়নি ইরান।’
ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জারিফ তোপ দেগে জানান, সাংস্কৃতিক জায়গাগুলিতে হামলা চালানো ‘যুদ্ধাপরাধের’ শামিল। তিনি বলেন, ‘গত শুক্রবার বাগদাদ বিমানবন্দরে গোপনে কাপুরুষোচিত হত্যাকাণ্ড চালিয়ে আগেই আন্তর্জাতিক আইন ভেঙেছিল আমেরিকা। যতই হাত-পা ছুঁড়ে চিৎকার করো, পশ্চিম এশিয়া থেকে আমেরিকার অস্তিত্ব মুছে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।’ এদিকে, ইরাকের হাশেদ আল-শাবি সেনা নেটওয়ার্কের অন্যতম অংশ কাতায়েব হিজবুল্লাহ ইরাকি সেনার কাছে একটি আর্জি জানিয়েছে। বলা হয়েছে, মার্কিন সেনা ছাউনি থেকে যেন দূরত্ব বজায় রেখে চলে ইরাকি সেনা। আর সেই দূরত্ব যেন অন্তত হাজার মিটার হয়। ইরাকের মার্কিন দূতাবাস ও সেনাঘাঁটিতে হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হিজবুল্লাহর এই ‘আর্জি’তে সিঁদুরে মেঘ দেখছে আমেরিকা। মার্কিন সেনাঘাঁটিগুলিকে নিশানা করে প্রত্যাঘাতের প্রথম ধাপ শুরু করে দিয়েছে ইরান ও তার সহযোগীরা। মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও হিজবুল্লাহকে নিশানা করে বলেন, ‘কী করবেন আর কী করবেন না, ইরাকের সরকারকে সেই নির্দেশ দিচ্ছে ইরানের সহযোগীরা।’
ওয়াশিংটনে যুদ্ধ বিরতির আর্জি (বাঁদিকে)। ইরানে সোলেমানির হত্যার বদলার দাবি এক তরুণীর (ডানদিকে)। ছবি: এএফপি