শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
অশ্লীল বা বিভ্রান্তিকর বার্তাই হোক বা ওটিটিতে প্রাপ্তবয়ষ্কদের সিরিজ কিম্বা সিনেমা, প্রাথমিকভাবে তাকে নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব চাপান হল সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের উপর। সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর কোনও ছবি বা মেসেজ প্রসঙ্গে অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তা মুছে দিতে হবে। কে প্রথম তৈরি করল কোনও বিভ্রান্তিকর বার্তা, সঙ্গে সঙ্গে তা ধরার দায়িত্ব নিতে হবে সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকেই। তার জন্য অভিযোগ গ্রহণের ব্যবস্থার পাশাপাশি ভারতে ওই সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানির কোনও বড় কর্তাকে নিয়োগ করতে হবে।
জানা গিয়েছে, কে ব্যবহার করছেন ওই প্ল্যাটফর্ম, প্রয়োজনে তাঁর নাম, সিম নাম্বারও এবার থেকে জেনে নিয়ে সেই মতো নেওয়া যাবে ব্যবস্থা। কিন্তু এটা কি ব্যক্তি স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ নয়? প্রশ্ন ওঠায় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, আমরা সরকার তো কিছু করছি না। তাছাড়া এটা স্বেচ্ছা ভেরিফিকেশন। সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মই তা করবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার সোশ্যাল মিডিয়ার সমালোচনাকে সাদরে গ্রহণ করে। সওয়ালেও আপত্তি নেই। সেই মতো মোদি সরকার চায় ভারতে ব্যবসা বাড়াক ডিজিটাল মিডিয়া, অর্থও উপার্জন করুক। কিন্তু তা করতে হবে বিধিনিষেধের মধ্যে থেকেই। আর তারই লক্ষ্যে এই নয়া নিয়ম। তথ্য-প্রযুক্তি আইনকে অবলম্বন করেই এই নির্দেশিকা জারি হয়েছে। কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর বলেন, নেটফ্লিক্স, অ্যামাজনের মতো যেসব ওটিটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, সেখানে সেলফ রেগুলেশন জরুরি। তাই কোন ছবি বা সিরিজ ১৩ বছরের কিশোর কিশোরী দেখতে পারবে, কোনটি প্রাপ্তবয়ষ্কদের জন্য, তা উল্লেখ করে সেই মতো সম্প্রচার করতে হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই বিধিনিয়ম কার্যকর হবে। সরকার জানিয়েছে, ভারতে এই মুহূর্তে হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহার করে ৫৩ কোটি মানুষ। ইউটিউব ৪৪.৮ কোটি। ফেসবুক ৪১ কোটি। ইনস্টাগ্রাম ২১ কোটি। এই বিশাল সংখ্যক সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের পায়ে বেড়ি পরানো মোটেই সহজ কাজ নয়। যদিও সরকার বেড়ি পরাতে চাইছে না বলেই দাবি করা হয়েছে। তবে বিধিনিয়মের জেরে আদতে সেটিই হতে চলেছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের মত।