শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ২০০৩ সালে। যদিও বাস্তবে এই চুক্তি খাতায় কলমেই থেকে যায়। উল্টে, গত বেশ কয়েক বছর ধরে সীমান্তে গুলি বিনিময় একপ্রকার নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। দুই বাহিনীর গোলাগুলির মাঝে পড়ে প্রাণ যাচ্ছিল সীমান্ত বসবাসকারী বহু সাধারণ মানুষেরও। সংঘাতের এই আবহেই দুই দেশের ডিজিএমও-র মধ্যে হটলাইনে কথা হয়। যৌথ বিবৃতি অনুযায়ী, বৈঠকে খতিয়ে দেখা হয় নিয়ন্ত্রণ রেখা ও অন্য সব সেক্টরের পরিস্থিতি। দুই দেশের সেনাকর্তারা ‘মুক্ত, খোলাখুলি ও অন্তরিক পরিবেশে’ আলোচনা করেন। শান্তি প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করে হিংসার সৃষ্টি করতে পারে, এধরনের পারস্পরিক উদ্বেগের ইস্যুগুলি সমাধানের বিষয়ে রাজি হয়েছেন দুই দেশের ডিজিএমও। সীমান্তে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত। এর ফলে লাভবান হবে দুই দেশই। যৌথ বিবৃতি অনুযায়ী, অযাচিত পরিস্থিতি বা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হলে হটলাইনে যোগাযোগ বা ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মতো আলোচনার প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থাগুলির ব্যবহার করা হবে।
ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, গোলাগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হলেও নিয়ন্ত্রণ রেখা সহ গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলি থেকে বাহিনী প্রত্যাহার হচ্ছে না। কমানো হচ্ছে না সেনার সংখ্যাও। উল্লেখ্য, ভারত-পাক সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে চলতি মাসের গোড়ায় লোকসভায় লিখিত জবাব পেশ করে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি জানান, শুধুমাত্র গত তিন বছরে ভারত-পাক সীমান্তে মোট ১০ হাজার ৭৫২টি সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর ৭২ জওয়ান ও ৭০ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন ৩৬৪ জওয়ান। গুলি বিনিময়ের মাঝে পড়ে জখম হন ৩৪১ জন সাধারণ মানুষও।