শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
দেশে এই ১৪টি সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞের সর্বোচ্চ ডিগ্রির (ডিএম) আসন রয়েছে শুধুমাত্র দুটি প্রতিষ্ঠানে। একটি দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস বা এইমস-এ। অন্যটি তামিলনাড়ুর সিএমসি ভেলোরে। দিল্লি এইমস-এ রয়েছে ১২টি আসন। ছ’টি তিন বছরের ডিএম ডিগ্রি। আরও ছ’টি এমবিবিএস শেষ করার পর টানা ছ’বছরের কনডেন্স ডিগ্রি। বাকি দুটি আসন রয়েছে ভেলোরে।
এখন প্রশ্ন, করোনার মতো মহামারীর মোকাবিলায় কেন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞের এত প্রয়োজন? ভয়াবহ সংক্রামক রোগকে জানতে, বুঝতে ও সেভাবে এমডি, এমবিবিএস চিকিৎসক এবং হেলথ ওয়ার্কফোর্সকে প্রশিক্ষিত করে তুলতে উচ্চ প্রশিক্ষিত সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ থাকা অত্যন্ত জরুরি। এটা কতটা প্রয়োজনীয় তা বুঝছে রাজ্য সরকারও। রাজ্যের অন্যতম দুই প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাই সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ। অথচ উল্লেখযোগ্য বিষয়, দু’জনের কেউই রাজ্যে সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞের পদে চাকরি করেন না। কারণ, এ জাতীয় পদই নেই রাজ্যে। দু’জনেই স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন-এ ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক চিকিৎসক।
বিষয়টি মেনেছেন দুই করোনা যোদ্ধার অন্যতম ডাঃ যোগিরাজ রায়ও। তিনি বলেন, বাংলায় সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞের পদ তৈরি হলে এখনই সরকারি কাজে যোগ দিতে মুখিয়ে রয়েছেন বেসরকারি ক্ষেত্রের অন্তত তিনজন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ। সারা দেশেই সরকারি ক্ষেত্রে এই পদ খুব কম রয়েছে।
পৃথিবীতে যাবতীয় রোগব্যাধি দুটি ভাগে বিভক্ত। ‘কমিউনিকেবল ডিজিজ’ বা সংক্রামক রোগ ও ‘নন কমিউনিকেবল ডিজিজ’ বা জীবনযাত্রার অসুখ। মানুষ থেকে মানুষে সরাসরি বা কোনও মাধ্যমে ছড়ায়, হু-র তালিকায় ৪৬টি এমন রোগের উল্লেখ রয়েছে। অন্যদিকে, সুগার, প্রেসার, হার্টের রোগ, ক্যান্সার ইত্যাদি হল নন কমিউনিকেবল ডিজিজ বা এনসিডি। অভিযোগ, এনসিডিতে বেশি জোর দিতে গিয়েই সংক্রামক রোগগুলিকে অবহেলা করছে বিভিন্ন দেশ, বিভিন্ন সরকার। গুনাগার দিতে হচ্ছে তারই।