সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
বিজেপি ও কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে জোট গড়তে প্রায় বছরখানেক ধরে চেষ্টা চালাচ্ছেন কেসিআর। ইতিমধ্যেই এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক আঞ্চলিক দলের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। কিন্তু বিশেষ সাড়া মেলেনি। গত বছর ডিএমকের তৎকালীন প্রধান অধুনা প্রয়াত এম করুণানিধি এবং তাঁর ছেলে এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। সেই বৈঠকের কয়েক মাসের মধ্যেই প্রয়াত হন করুণানিধি। এরপরেই বদলে যায় পরিস্থিতি। কংগ্রেসকে সমর্থন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন স্ট্যালিন। রাহুল গান্ধীকে সমর্থন জানানোর কথা ঘোষণা করার পরে কেসিআরের কথায় স্ট্যালিন এই অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি জোটে আসবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই। যদিও জোট গড়ার ক্ষেত্রে হাল ছাড়তে নারাজ কেসিআর ইতিমধ্যেই কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি ফের তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
কংগ্রেসের এই মহাজোটে থাকার বিষয়ে স্ট্যালিনের পাশাপাশি বার্তা দিয়েছিল বামেরাও। যদিও গতকাল সন্ধ্যায় কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে বৈঠক করেন কেসিআর। এই বৈঠককে ‘বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছেন বিজয়ন। তিনি জানিয়েছেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনে সরকার গড়ার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক দলগুলি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কেসিআরের সঙ্গে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ ভারত থেকেই হওয়া উচিত বলে বিজয়নকে বার্তাও দেন কেসিআর। পাশাপাশি তাঁকে আরও মনে করিয়ে দেন, কেরলের ওয়ানাড়ে বিজেপি কোনও প্রার্থী দেয়নি। তাদের জোটসঙ্গী ভারত ধর্ম জনসেনা (বিডিজেএস) প্রার্থী দিয়েছে। কিন্তু তারপরও এক বাম প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন রাহুল গান্ধী। এবারের নির্বাচনে কংগ্রেস বা বিজেপি, কোনও দলই নিজে বা তাদের জোটসঙ্গী নিয়ে সরকার গড়তে পারবে না বলেও বার্তা দিয়েছেন কেসিআর। সূত্র মারফৎ আরও জানা গিয়েছে, ২৩ মে ফলপ্রকাশের পর সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কেসিআরের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবে বলে জানিয়েছেন বিজয়ন।