কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
সি-ভিজিল অ্যাপের অন্যতম শর্ত হল, অভিযোগ জানানোর সঙ্গে সঙ্গে ১০০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে। কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, তা জানাতে হবে। কেরলে অভিযোগ জমা পড়েছে ১১০৫৮টি। যার মধ্যে ৮৮ শতাংশ অভিযোগের সমাধান করেছে কমিশন। মধ্যপ্রদেশ থেকে ৪৮০৪টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তার ৭৯ শতাংশের নিষ্পত্তি করা হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশের অভিযোগের সংখ্যা ৪৩৩৮। তবে ওই রাজ্যের অভিযোগ নিষ্পত্তির হার কম। নিষ্পত্তি হয়েছে ৫০ শতাংশ। অভিযোগ জমা পড়ার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ চতুর্থ হলেও, এখানে নিষ্পত্তির হার বেশি। রাজ্যে অভিযোগ জমা পড়েছে ৩০৭৬টি, আর নিষ্পত্তির হার হল ৬৫ শতাংশ।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহারে সি-ভিজিল অ্যাপে অভিযোগ জমা পড়েছে ৫৪৫টি। সেখানে নিষ্পত্তির হার খুব খারাপ, মাত্র ২০ শতাংশ। ঝাড়খণ্ডে অভিযোগ জমা পড়েছে ২১১টি। সেখানে নিষ্পত্তির হার হল ২৯ শতাংশ। এই দুই রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী রাজ্য ওড়িশায় অভিযোগ জমা পড়েছে বেশি, ৬৩৩টি। গত বছর কর্ণাটক বিধানসভার ভোটে সি-ভিজিল অ্যাপ প্রথম চালু হয়। তা খুবই সফল হয়েছিল বলে দেশ জুড়ে এবারের লোকসভা ভোটে তা চালু করল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। এই অ্যাপ গুগল প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের সময় মোবাইলে ছবি তুলে পাঠাতে হবে। অনেকে অভিযোগ জানানোর জন্য নানা ধরনের সেলফি তুলে মজা করে ছবি পাঠিয়েছেন। যা অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে ডিলিট করে দেওয়া হয়।
সিইও দপ্তর থেকে সেই অ্যাপে অভিযোগ দেখে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী আধিকারিককে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে সেই অভিযোগের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর জন্য সময় দেওয়া হয় মাত্র ১০০ মিনিট। ১০০ মিনিটের মধ্যে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, তা অভিযোগকারীকে জানিয়েও দেওয়া হয়। প্রতিটি ব্লকে নজরদারি করার জন্য কমিশন লোক নিয়োগ করেছে। এবার থেকে রাজ্যস্তরের নেতাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাও জনসমক্ষে তুলে ধরতে কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে সি-ভিজিল অ্যাপে সরকারের কোন কাজে মডেল কোড অব কন্ডাক্ট অমান্য হচ্ছে, তা জনসমক্ষে তুলে ধরা হবে। এদিকে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যে মদ উদ্ধার হয়েছে ১৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭২৯ লিটার। আর নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে ১৪ কোটি ৭২ লক্ষ।