কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
সিবিআই তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারছে, রোজভ্যালির স্বর্ণ বিপণি সংস্থা ২০১৩-২০১৪ সালে রোজভ্যালির বিভিন্ন সিস্টার কনসার্ন থেকে ১০২.৫৩ কোটি টাকা ঋণ নেয়। ২০১৪ সালে এই কোম্পানি দেখায়, তাদের ১৮.৮৬ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। এখান থেকেই সন্দেহের সূত্রপাত সিবিআই আধিকারিকদের। কারণ এই সময় চিটফান্ড কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। অফিসাররা জানতে পারছেন, বিভিন্ন অজুহাতে ঋণ নেওয়া হলেও, আসলে এই টাকা ঘুরপথে এক কোম্পানি থেকে অন্য কোম্পানিতে ট্রান্সফার করা হয়েছে। স্বর্ণ বিপণি সংস্থা এই টাকা আবার বিদেশে পাচার করে দিয়েছে বলে অভিযোগ। গোটা পরিকল্পনায় ওই দুই মহিলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে দাবি করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা। কিন্তু তাঁদের ভূমিকা এতদিন ভালো করে বিশ্লেষণ করা হয়নি। কেন সেটি করা হল না, এক্ষেত্রে সিবিআই বা ইডি র কোনো অফিসার তাঁদের জেরায় বাধা দিয়েছিলেন কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
২০১৭ সালে শুভ্রা দেবী স্বর্ণ বিপণি তে যোগ দেন। সিবিআই এর দাবি প্রভাবশালী দের সঙ্গে নিয়ে এই সংস্থার দখল নেন শুভ্রা দেবী। ২০১৭ সালের পর তিনি একাধিক বার দুবাই গিয়েছেন। নথি ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে দুবাই এর বেশ কিছু কোম্পানি থেকে এই স্বর্ণ বিপণি সংস্থা বিভিন্ন আইটেম কিনেছে। যার জন্য ভালো টাকা পেমেন্ট দেখানো হয়েছে। যা গিয়েছে ওই স্বর্ণ বিপণি সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে। আসলে এর আড়ালে রোজভ্যালির টাকা পাচার করে দেওয়া হয়েছে বিদেশে । এর পুরো পরিকল্পনাটি শুভ্রা দেবীর বলে সিবিআইয়ের অভিযোগ। বিদেশে কোথায় এই টাকায় সম্পত্তি কেনা আছে তা শুভ্রা দেবীকে জেরা করে জানতে চান আধিকারিকরা। এদিকে, শুভ্রা দেবীর আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী বলেন, তাঁর মক্কেল ওই স্বর্ণ বিপণি সংস্থাতে একজন কর্মী হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি সই করার অধিকারী ছিলেন না। তাই শুভ্রা দেবীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। -ফাইল চিত্র