কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
আগেই ঘোষণা করেছিলেন শনিবার দুপুর তিনটের সময় ফেসবুক লাইভে বক্তব্য রাখবেন। সেইমতো,শনিবার সঠিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে মানুষের কাছে হাজির হন রাজীব। তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য মানুষজন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন সেটা ধরা পড়েছে লাইভের দর্শক সংখ্যা দেখেই। মানুষের সঙ্গে দলের সম্পর্ক নিবিড় করার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। দলনেত্রীর আদর্শের কথা উঠে এসেছে রাজীবের বক্তব্যে। তবে কর্মীদের আরও সম্মান দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। যেখানে তিনি বলেছেন, ভালো কাজ করতে গিয়ে বাধা পেলে বলেছি, তবে দূরে ঠেলে দিলে আহত হয়েছি, ক্ষোভ জমেছে।
দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে ক্ষোভের কথা এর আগে জানিয়েছেন তিনি। দেখা গিয়েছে, তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দুবার বৈঠক হয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এরপরই এদিন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, দল মানুষের সঙ্গে থাকুক। এখনও ধৈর্যচ্যুতি ঘটেনি, ধৈর্য ধরে আছি, ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছি। বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে একাধিক তৃণমূল নেতৃত্বের গলায় ‘বেসুর’ শোনা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে রাজীবকে নিয়েও রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ওঠে। এমনকী এদিন ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপচারিতায় এক দর্শক প্রশ্ন ছুড়ে দেন, আপনি কি বিধানসভা ভোটের আগে নাটক করছেন? উত্তরে রাজীব বলেন, কোনও নাটক নয়। ব্যক্তির স্বার্থের কথা বলিনি। মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে ভুল-ত্রুটি সংশোধন করা দরকার। তাঁর অভিযোগ, যখন দিশা দেখাতে চাইছেন, তখন কতিপয় নেতা সমালোচনা করছেন, এতে কষ্ট পেয়েছেন। কিছু নেতা ভুল বুঝিয়ে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করছে। আমার কাজের অপব্যাখ্যা করছে। ২০২১ সাল রাজনৈতিক দিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণে রাজনৈতিক পথ নিয়ে মানুষের কাছে উপদেশ চেয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী। নিজের বিধানসভা এলাকায় চাকরি পরীক্ষার জন্য একটি কোচিং সেন্টারের ব্যবস্থা করেছেন। সে প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যে কর্মসংস্থানের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন তিনি।
রাজীব প্রসঙ্গে তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক ফিরহাদ হাকিম বলেন, কংগ্রেস ভেঙে যখন তৃণমূল তৈরি হয়েছিল, তখন সব কর্মীরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এসেছিল। নেতারা পড়ে ছিলেন কংগ্রেসে। তখন আমাদের কে চিনত! আজ, রাজীব, আমি বা অরূপ সেই কর্মী থেকেই তো মন্ত্রী হয়েছি। ও (রাজীব) বলছে, সম্মান পাচ্ছে না। ওকে যখন মমতাদি উলুবেড়িয়া থেকে এমপি সিটে লড়ার জন্য টিকিট দিয়েছিলেন, তখন তো আমি কাউন্সিলার হওয়ার স্বপ্নও দেখতাম না। ওর যদি সত্যি করেই কিছু বলার থাকত, তাহলে ক্যাবিনেটেই বলতে পারত। সেখানে তো বাংলাতেই কথা হয়। আমি ওকে বহুবার ডেকেছি, তাহলে কথা বলার সুযোগ নেই, এই অভিযোগটা ঠিক নয়।