অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
তবে যে দপ্তরগুলি বাজেটে তাদের বরাদ্দ টাকার সিংহভাগ ইতিমধ্যেই খরচ করেছে, তাদের বরাদ্দ বাড়তে পারে বলে অনুমান। সেই দপ্তরগুলি হল পঞ্চায়েত, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পূর্ত, আবাসন, সেচ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ, পুর-নগরোন্নয়ন, জলসম্পদ উন্নয়ন এবং খাদ্য দপ্তর। আগামী আর্থিক বছরে কর্মসংস্থান ও মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াই মমতার সরকারের লক্ষ্য।
রাজ্যে বর্তমানে ৫২টি দপ্তর রয়েছে। তাছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় ও রাজভবনের জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ করা হয়। বর্তমানে অর্থ দপ্তর অনলাইনে বাজেট তৈরির কাজ করছে। কাগজপত্রের কোনও বালাই নেই। এতে কাজের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয় বলে অফিসাররা মনে করেন।
আগামী বছর ১১১টি পুরসভার ভোট। পরের বছর বিধানসভা নির্বাচন। তাই এটাই দ্বিতীয় মমতা সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট হতে চলেছে। ২০২১ সালের গোড়ায় ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ করতে হবে। ফলে এবারের বাজেটেই বিভিন্ন দপ্তরের বিশেষ সাফল্যগুলিকে তুলে ধরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সাফল্যের কথাই ২০২০-’২১ অর্থবর্ষের বাজেট বক্তৃতায় তুলে ধরা হবে। তাই সব দপ্তরের প্রধান সচিবকে ২০১৯-’২০ আর্থিক বছরের বিশেষ সাফল্যগুলিকে সুনির্দিষ্ট আকারে অর্থ দপ্তরে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ওই দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি। এর জন্য তিনি শব্দসংখ্যাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। একইসঙ্গে ২০২০-’২১ সালের বাজেটের খসড়া জমা দিতে বলা হয়েছে। যার উপর ভিত্তি করেই তৈরি হবে আগামী আর্থিক বর্ষের বাজেট। এই বাজেট আরও জনমুখী হবে বলেই অভিজ্ঞমহলের ধারণা।
আগে পরিকল্পনা ও পরিকল্পনা বহির্ভূত খাতে বরাদ্দ ধরেই বাজেট করা হতো। চিরাচরিতভাবে এই প্রথা মেনেই বাজেট তৈরি হয়ে এসেছে এই রাজ্যে। গত বছর থেকে সেই কাঠামো বদলে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। এখন বাজেট হয় দুটি খাতের উপর ভিত্তি করে। প্রথমটি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যয়বরাদ্দ ও দ্বিতীয়টি প্রশাসনিক ব্যয়বরাদ্দ। দ্বিতীয় খাতে কর্মচারীদের বেতন, পেনশন, বিদ্যুতের বিল, টেলিফোন বিল ইত্যাদি ধরা হয়।
এখনও পর্যন্ত দপ্তরগুলি কত খরচ করেছে, কত টাকা খরচ করতে বাকি আছে এবং প্রস্তাবিত খরচের হিসেব দেওয়ার জন্য দপ্তরের প্রধান সচিব ও বিভিন্ন ডিরেক্টরেটকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে একটি ফরম্যাটও দেওয়া হয়েছে। তবে যে সব দপ্তর বর্তমান আর্থিক বছরে বরাদ্দ অর্থের সবটা খরচ করতে পারেনি, তাদের চাহিদামতো বাজেট বরাদ্দ করা হবে না বলে জানা গিয়েছে। এমনকী খরচ করতে না পারার কারণে যে সব দপ্তরে টাকা পড়ে আছে, তা ফিরিয়ে নেওয়া হবে। তবে যে দপ্তরগুলি ভালো কাজ করেছে, সেই দপ্তরের বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো হবে। অর্থাৎ কাজের নিরিখে অর্থ খরচের হিসেবের উপরে ভিত্তি করে বাজেট বরাদ্দ হতে চলেছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। মূলত পরিকাঠামো উন্নয়ন ও সামাজিক পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে যে সব দপ্তর কাজ করে, তাদের বরাদ্দ বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।