কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
গ্রামগঞ্জের টোলগুলিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিয়ে আসার জন্য গত বছর ডিসেম্বরে শিক্ষা দপ্তরের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরিসংখ্যান বলছে, সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচশো টোল অধিগ্রহণ করার কথা। তবে এই হিসেব কয়েক বছর আগের। বর্তমানে সেই সংখ্যা কত, তা অবশ্য জানা নেই। সেই হিসেব রয়েছে দপ্তরের কাছে। টোলগুলি কীভাবে অধিগ্রহণ করা হবে, এগুলির কোনও বিভাগ আছে কি না, বর্তমানে টোলগুলির পরিস্থিতি কেমন ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে শিক্ষা দপ্তরের কাছে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু অর্থনৈতিক প্রশ্নও রয়েছে। দপ্তরে জমা পড়া চিঠিতে বলা হয়েছে, এই টোলগুলির আর্থিক দায়ভার কারা নেবে? টোল পণ্ডিতদের ডিএ দেওয়ার জন্য কি বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি অনুদান পাবে নাকি অন্য ব্যবস্থা করা হবে?
শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা টোলগুলির অবস্থা সর্বত্র ভালো নয়। পরিকাঠামোর দিক থেকে বেশ কিছু টোল ধুঁকছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আনা হলে, সেগুলির হাল ফিরবে বলেই আশাবাদী দপ্তরের কর্তারা। দপ্তরের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বৈঠকও হয়। সরকারি এবং বেসরকারি টোলগুলির অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেখানেই ঠিক হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ধোঁয়াশার জায়গাগুলি দপ্তরের কাছে তুলে ধরা হবে। এছাড়াও টোল সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটিউটে কী বলা হয়েছে, তাও দপ্তরে রিপোর্ট আকারে পাঠানো হয়েছে। এখন দপ্তরের উত্তরের অপেক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়।
এই টোলগুলির মধ্যে বেশিরভাগই স্কুলের পাঠ দেওয়া হয়। আর তাই শিক্ষা দপ্তরের তরফেই টোলগুলি অধিগ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি এক অতিরিক্ত সচিবের আওতায় রয়েছে। এ বিষয়ে অবশ্য কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি। তবে শিক্ষা দপ্তরে যে এই টোলগুলি অধিগ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে, সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষকরা। তাঁদের মতে, টোলগুলি অধিগ্রহণ না করা হলে, সেগুলি হয়তো আর থাকবে না। দ্রুত যাতে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়, তার জন্য শিক্ষা দপ্তরের কাছে আর্জি জানান তাঁরা।