কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
মামলার শুনানিতে বিচারপতি চন্দ্রচূড় আজ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে বলেন, বিশেষজ্ঞ কমিটি যখন প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল বলে মেনেই নিয়েছে, তাহলে বাড়তি নাম্বার পাওয়ার ক্ষেত্রে তা সবার জন্য কেন বলবৎ হবে না? পরীক্ষা তো দিয়েছিল সকলেই। তাই হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে যারা আবেদন করেছিল, কেবলমাত্র তাদের চাকরির জন্য রাজ্য নিয়োগের উদ্যোগ নিতে পারে কি? প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত আদালতে জানান, বাড়তি নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছে, তা আমরা ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করেছি। সেই মামলার শুনানি এখনও হয়নি। তখনই বিচারপতি চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তার বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, তাহলে সুপ্রিম কোর্টে যারা এসেছেন, তারাও ওখানে নতুন করে আবেদন করুন। একইসঙ্গে সবকটি মামলা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হবে।
প্রাথমিকে শিক্ষকতার চাকরির জন্য ২০১৪ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষকের পদ খালি ছিল। সেই পদের জন্য প্রায় ২০ লক্ষ পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর। কিন্তু প্রশ্নপত্রে সিলেবাসের বাইরে কিছু প্রশ্ন আসার প্রতিবাদ করে ফল প্রকাশের পর তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। মামলা করেন কয়েকজন পরীক্ষার্থী। হাইকোর্টের সিঙ্গল বিচারপতির বেঞ্চ রায় দেয়, সিলেবাসের বাইরে থেকে আসা প্রশ্নের জন্য বাড়তি নম্বর দিতে হবে। এবং প্যানেল তৈরি করে চাকরিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
কিন্তু হাইকোর্ট এও জানিয়ে দেয়, যারা আদালতে আবেদন করেছেন, কেবল তারাই এই সুযোগ পাবেন। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন এক পরীক্ষার্থী বসির আহমেদ। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলাকে খারিজ করে দিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চে যেতে বলে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন ওই আবেদনকারী। তাঁর আইনজীবী অতরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সওয়াল, এ ধরনের মামলায় একজনের জন্য যা রায় হয়, তা সবার ওপর বর্তায়। তাই কেবল সিঙ্গল বেঞ্চে আবেদনকারীই নয়, সমস্ত পরীক্ষার্থীদের ওপরই তা বলবৎ হোক। কারণ সিলেবাসের বাইরের প্রশ্নের মুখোমুখি তো সবাইকেই দিতে হয়েছে। সওয়াল জবাব শুনে আপাতত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।