কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি এবার নিজেও মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। তা বলে রাজ্যজুড়ে ঘোরাঘুরি কমছে কোথায় তাঁর? তিনি নিজেই যে এ রাজ্যে দলের অন্যতম কাণ্ডারী। বললেন, দিনভর দৌড়ঝাঁপ করার শক্তি পাই শৃঙ্খলাপরায়ণ জীবন থেকে। ৯২ সাল থেকে পাতে ডিম ছেড়েছি। গত ১০-১২ বছর হল খাসি, মুরগি কিছুই খাই না। মাছ খেলে খাই চুনো মাছ, নয়ত চারাপোনা।
জীবনযাপনে কেমন শৃঙ্খলা তাঁর, দিলীপবাবু নিজেই জানালেন। ‘সকাল পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠি। ঈষদুষ্ণ জল খেয়ে প্রাতঃকৃত্য সেরে বেরিয়ে পড়ি হাঁটতে। দু’ঘণ্টা হাঁটি। হাঁটা-জনসংযোগ-আড্ডা, সব একসঙ্গে হয়। বাড়ি ফিরে একটু বিশ্রাম নিয়ে, কাজকর্ম করে সকাল ১০টা নাগাদ তিনটে রুটি আর একটু সব্জি। এখন ভোটের সময় প্রচারের ফাঁকে কর্মীদের বাড়িতে চাট্টি সব্জি ভাত। সঙ্গে চারামাছ চলতে পারে। হাঁটতে হাঁটতে খিদে পেলে খাই মুড়ি। রাতে খাবারে সেই তিনটে রুটি আর সব্জি। আর গোরুর খাঁটি দুধ যদি পাই, এক গ্লাস খাই। স্বীকার করছি, ও ব্যাপারে আমার দুর্বলতা আছে। এই করে দিব্যি আছি। কর্মীদের চাপে ক’দিন আগে ডাক্তারের কাছে সুগার-প্রেশার মাপাতে গিয়েছিলাম। ডাক্তারবাবু তো মাপতে না মাপতেই আমায় ভাগিয়ে দিলেন। বললেন, আপনার কিছু নেই। যান তো! বলেই হাসিতে ফেটে পড়লেন রসিক দিলীপবাবু। জানালেন, দেখুন নিরামিষ খেয়ে যথেষ্ট ভালো আছি। লোকে মাংস খাওয়াতে এলে বলি, দেখুন, এমনিতেই তো আমার শরীরে মাংস বেশি (৫৫ বছর বয়সে ওজন ৮০’র বেশি)। আর কত খাওয়াবেন!
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের রাশভারী গলা। জীবনচর্চার রহস্য ফাঁস করলেন না বেশি। তবে বললেন, মানুষের অফুরান ভালোবাসা থেকেই দিনভর রাজনৈতিক কাজ করবার শক্তি পাই। ডায়েটে প্রোটিন অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছি। মেনুতে মটন বাদ। চিকেন, ডিম, মাছ— সবই খাই। কিন্তু একেবারেই অল্পস্বল্প। আর হ্যাঁ, ব্যায়াম করি, যোগ করি। ফিট থাকতে সপ্তাহে দু’দিন ম্যাসাজ খুব কাজে দেয়।
দক্ষিণবঙ্গের রাজনীতিতে তৃণমূলের অন্যতম পাওয়ারহাউস বীরভূমে তাদের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। দিনভর গন্ডা-গন্ডা সভা-সমাবেশ, মিটিং-মিছিল, হাঁটা-ঘোরা। সঙ্গে বিরোধীদের নাস্তানাবুদ করতে কখনও গুড়-বাতাসা, কখনও নকুলদানার দাওয়াই। এত এনার্জি আসছে কোথা থেকে? টেলিফোনের ওই প্রান্ত থেকে ভেসে আসল সরল হাসি। বললেন, অতশত জানি না। তবে জানবেন, হাঁটায় প্রচুর এনার্জি মেলে। দিন শুরু করি হেঁটে। বাড়িতে ট্রেড মিল আছে। চার কিমি হাঁটি সেখানে। আর ডায়েট? আতপ চালের ভাত, সোনা মুগের ডাল। আর পোস্তর বড়ার কথা বলিনি না আপনাকে? সেটা আমার বড় প্রিয়। রাতে মুড়ি বা রুটি আর সব্জি। লোভনীয় খাবারে রুচি নেই? গম্ভীর অনুব্রত। কমিয়ে দিয়েছি, অনেক কমিয়ে দিয়েছি, বুঝলেন।