কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনারের এক কর্মীর কথায়, ভোটের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনা এখন শুধু জেলের অন্দরমহলেই নয়, তা গড়িয়েছে জেলের রন্ধনশালা এবং ক্যান্টিনেও। জেলের কর্মীদের একাংশের কথায়, কিছু বন্দি কৌতূহল ভরে ক্যান্টিনে আসা মানুষজনের কাছে জানতে চাইছেন, তাঁদের কেন্দ্রে বিভিন্ন দলের হয়ে কারা ভোটে দাঁড়িয়েছেন, ভোট প্রচার কেমন চলছে ইত্যাদি।
বিভিন্ন জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারে বন্দিদের পড়ার জন্য আসে বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু মিলিয়ে একাধিক সংবাদপত্র। প্রতিটি সংবাদপত্রের সংখ্যা ২০ ২৫টি করে। কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারগুলিতে সেই সংখ্যা ৩০ ৪০টি করে। বছরের আর পাঁচটা সময় ওইসব সংবাদপত্র নিয়ে বন্দিদের যতটা না উৎসাহ দেখা যায়, ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই সেই উৎসাহ অধিক মাত্রায় বেড়ে গিয়েছে। জেলে কখন কাগজ ঢুকবে, তা নিয়ে মুখিয়ে থাকেন বন্দিরা। ভোট যত এগিয়ে আসছে, সেই উৎসাহ ততই বেড়েছে। দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের কয়েকজন কর্মী বলেন, এখন তো সকাল হতে না হতেই কিছু বন্দি জেলের অফিস থেকে সংবাদপত্র সংগ্রহ করতে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। সংবাদপত্র আসা মাত্রই তা নিয়ে সোজা চলে যাচ্ছেন সেলে। এরপর চা বিস্কুট হাতে নিয়ে বন্দিরা সংবাদপত্রের পাতায় চোখ রেখে গিলছেন ভোট সংক্রান্ত খবরগুলি। রাজনৈতিক বিশ্লেষণগুলি মন দিয়ে পড়ে নিজেরাও বিশ্লেষণ করছেন। দিনভর তা নিয়ে চলছে নানা চর্চা।
জেল সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগে প্রেসিডেন্সি জেলে এসেছিলেন কয়েকজন বিচারাধীন বন্দির বাড়ির লোকজন। নানা কথার ফাঁকে ওই বন্দিরা তাঁদের বাড়ির লোকজনের কাছে জানতে চান, এলাকায় ভোট নিয়ে কেমন প্রচার চলছে। কোন দলের জেতার সম্ভাবনা বেশি। সবমিলিয়ে জেলগুলিতে এখন ভোট-চর্চা জমে উঠেছে।