কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পূর্বাঞ্চলীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শচীন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও রাজ্যের সমস্ত জেলায় রামনবমী পালিত হবে। তবে এবার লোকসভা ভোট রয়েছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার অস্ত্র নিয়ে মিছিল কিংবা শোভাযাত্রা হবে না। শুধু তাই নয়, বিজেপির ৪২ জন প্রার্থীর কাছে আবেদন জানাব, যাতে তাঁরা রামনবমীর শোভাযাত্রায় অংশ না নেন। উল্লেখ্য, গত চার-পাঁচ বছর ধরে বাংলায় গেরুয়া শিবিরের তৎপরতায় রামনবমী-হনুমান জয়ন্তী ধুমধাম করে পালন করা শুরু হয়েছে। যা নিয়ে শাসকের সঙ্গেও প্রকাশ্যে বিবাদে জড়িয়ে সঙ্ঘ পরিবারের বিবিধ সংগঠন। গত বছরও অস্ত্র নিয়ে মিছিল করার অভিযোগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছে প্রশাসন। একই সঙ্গে গতবছরই তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির বৈঠকে সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, এবার থেকে জোড়াফুল শিবিরের তরফেও রামনবমী পালন করা হবে। সেই মতো গত বছর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাজ্যের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন।
তারই সূত্র ধরে রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রী তথা প্রভাবশালী তৃণমূলনেতা সাধন পাণ্ডে চলতি বছরে রামনবমী পালনের ভিন্ন আঙ্গিককে নিজেদের জয় বলে ব্যাখ্যা করেছেন। রবিবার তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস অহিংসায় বিশ্বাস করে। তাই রামনবমীর মিছিলে আমরা অস্ত্র ব্যবহার করি না। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তথা গেরুয়া শিবির তাঁদের থেকেই এটা শিখেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সাধনবাবু আরও বলেন, দিলীপ ঘোষেরা ভয় পেয়ে গিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেননা, ভোট চলাকালীন রাস্তায় অস্ত্র হাতে মিছিল করলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতেই পাকড়াও হবেন ওঁদের দলের নেতারা। তাই আগেভাগে অস্ত্র না নিয়ে মিছিলের ডাক দিচ্ছে সহযোগী সংগঠন।
যদিও দিলীপ ঘোষ ভিএইচপি’র এই অস্ত্র বর্জনের আবেদন শুনতেই নারাজ। রবিবার মেদিনীপুরে প্রচারের ফাঁকে এ প্রসঙ্গে ফোনে তিনি বলেন, পরম্পরা মেনে আমরা রামনবমীর মিছিল করব। যেখানে অস্ত্র নিয়ে মিছিল হয়, সেখানে তাই হবে। তিনি নিজে খড়্গপুর-মেদিনীপুরে ১৪ এপ্রিল একাধিক অনুষ্ঠানে অস্ত্র হাতেই হাজির থাকবেন বলেও জানিয়েছেন। পাশাপাশি দলের এমপি প্রার্থীরা চাইলে যেখানে খুশি রামনবমীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। দিলীপবাবুর ব্যাখ্যা, রীতি মেনে সুপ্রাচীন কাল থেকে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। সেখানে অস্ত্র কোনওভাবেই হিংসা ছড়াতে ব্যবহৃত হয় না। সাধনবাবুর উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ, ওনাকে তৃণমূলের কথা ভাবতে বলুন। কারণ আমাদের চাপেই নামাজ পড়া ছেড়ে রামভক্ত হতে হয়েছে ওঁদের। ফলে কারা ভয় পেয়েছেন সহজেই বোঝা যাচ্ছে।