কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সভা থেকে ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে যে তিনটি প্রতিযোগিতা হয়েছে, তাতে জয়ী দলের সদস্যদের সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করবে সরকার। তাঁদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন তিনি। স্পোর্টস কোটায় তাঁদের নিয়োগ করা হবে বলেও জানানো হয়। এরপর নড়েচড়ে বসেন পুলিস কর্তারা। যে সব জেলায় এই প্রতিযোগিতা হয়েছে, সেই জেলাগুলির কাছে তড়িঘড়ি নামের তালিকা চাওয়া হয়। সূত্রের খবর, সেই তালিকা ইতিমধ্যেই পুলিস ডিরেক্টরেটে জমা পড়েছে। এরপরই সিদ্ধান্ত হয়, স্পেশাল ক্যাটিগরিতে এই যুবকদের সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি দেওয়া হবে। তবে তাঁরা শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বয়সের ক্ষেত্রে তাঁরা কতটা ছাড় পাবেন, তা নিয়ে ধন্দে পুলিস কর্তারা। কারণ বিষয়টি এখনও নবান্নে বিচারাধীন রয়েছে। নবান্নের কর্তারা জানিয়েছেন, সময়মতো বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে নিয়োগের কাজ যাতে আটকে না থাকে, সেজন্য প্রশাসনের শীর্ষ স্তর থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ চলে এসেছে বলে খবর। রাজ্য পুলিস সূত্রে খবর, জয়ী টিমের সদস্যদের খুব শীঘ্রই ডেকে পাঠানো হবে। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে নিয়োগপত্র। তার আগে সংশ্লিষ্টদের খুঁটিনাটি তথ্য জোগাড় করে নেওয়া হচ্ছে। যাতে কোথাও কোনও সমস্যা না হয়।
সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজের পাশাপাশি তাঁরা যাতে খেলাধুলো চালিয়ে যেতে পারেন, সে বিষয়টি মাথায় রাখতে হচ্ছে পুলিস কর্তাদের। সেইমতো ডিউটি চার্ট তৈরি করা হবে। যাতে যানশাসন সামলে বা থানার প্রয়োজনীয় কাজ সেরে অনুশীলনে যোগ দিতে পারেন তাঁরা। পুলিস কর্তাদের আশা, এরফলে এই সমস্ত প্রতিযোগিতায় আগামী বছর থেকে অংশগ্রহণ আরও বাড়বে। পাশাপাশি এই জেলাগুলিতে খেলাধুলোর প্রতি আগ্রহ বাড়বে যুবকদের। খেলার কোটায় যে চাকরি মেলে, এই বার্তা ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি ছাড়া অন্য কোনও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা তাঁদের জন্য করা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে নবান্ন। যাতে ভবিষ্যতে আরও বেশি যুবককে চাকরির সুযোগ করে দেওয়া যায়।