সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ
ঠিক হয়েছে, মা কালীর গর্ভগৃহ, ভোগঘর, নাটমন্দির, শিবমন্দির, কুণ্ডপুকুর থেকে শুরু করে মন্দিরের চাতাল, ভিতরে এবং বাইরের প্রাচীরসহ গোটা মন্দিরের ভোল বদলানো হবে। তবে, ঐতিহ্য বজায় রেখেই। এর মধ্যে গর্ভগৃহ, ভোগঘর, নাটমন্দির, শিবমন্দির গ্রেড ‘এ’ হেরিটেজের আওতাভুক্ত। সেক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভার হেরিটেজ কমিটি ও রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের অনুমোদন প্রয়োজন। তাই আপাতত মন্দিরের বাকি অংশের সংস্কারের কাজ শুরু হবে। কালী পুজোর পর মূল মন্দির তথা গর্ভগৃহের সংস্কারের কাজ হবে। বসবে ঐতিহ্যের সঙ্গে মানানসই নয়া টাইলস। রং হবে। পাশাপাশি মন্দিরের পূর্ব প্রবেশদ্বার থেকে আদিগঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ১৫০ মিটার দীর্ঘ যে অ্যাপ্রোচ রোড রয়েছে, তারও সৌন্দর্যায়ন হবে। এতে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, এই সতীপীঠের সংস্কারের দায়িত্ব এতদিন পুরসভার হাতে ছিল। ইতিমধ্যেই পুরসভা মন্দিরের চাতাল, কুণ্ডপুকুরের সংস্কার করেছে। তাহলে কেন এই দায়িত্ব বদল? মন্দির কমিটির এক সদস্য বলেন, পুরসভার কাজে অনেকেই ক্ষুব্ধ। ১৮ মাসে সংস্কারের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ৪৫ মাস হয়ে গিয়েছে। পয়লা বৈশাখে মন্দিরে পুজো দিতে এসে বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়া, রিলায়েন্স গোষ্ঠী মন্দিরের উন্নয়নে শামিল হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এদিনের বৈঠকে মন্দির কমিটির প্রধান সদস্যরা ছাড়াও কলকাতা পুরসভার শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে এ নিয়ে পুরসভার তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।