সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ
গোয়েন্দা বিভাগের ইকোনমিক অফেন্সেস উইংয়ের তরফে ব্যাঙ্ককে দেওয়া একটি চিঠির প্রতিলিপি হাতে আসে ‘বর্তমান’-এর। শুধু তাই নয়, কসবা থানার একটি কেসের সপক্ষে একই বিভাগের তরফে ৯১ সিআরপিসি ধারায় ইস্যু করা একটি সমনের নোটিসের ফটোকপি মেলে কচুরির দোকান থেকে। সেই সমস্ত অতি গোপন নথির প্রতিলিপিতেই বিকোতে দেখা যায় জিলিপি। এই বিষয়টি গোয়েন্দা প্রধান শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তীর নজরে নিয়ে আসা হয়। এরপরেই গোটা বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন পুলিসকর্তা। তাঁর নির্দেশেই লালবাজারের উল্টোদিকের ফুটপাতের সবক’টি দোকানে চিরুনি তল্লাশি চালান। পুলিস সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট কচুরির দোকানে সবক’টি ঠোঙা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন তদন্তকারীরা। কচুরি দোকানির সঙ্গে কথা বলে ফটোকপি করার দু’টি দোকানেও হানা দেয় পুলিস। তবে সেক্ষেত্রেও কোনও কিছু উদ্ধার করা যায়নি বলে পুলিসের দাবি। তবে সেখান থেকেই কচুরির দোকানের ব্যবসায়ী কেজি দরে কাগজ কেনেন। সেই কাগজের মধ্যেই গোয়েন্দা বিভাগের নথির প্রতিলিপি ছিল বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী। তাঁর কথায়, প্রায় ঘণ্টাখানেকের জন্য আমাকে লালবাজারে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন অফিসাররা। আমার দোকান থেকে বেশ কিছু কাগজও নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। এছাড়া প্রতিলিপি করার দোকান ও রবার স্ট্যাম্পের ব্যবসায়ীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
দেখা গিয়েছে, গোয়েন্দা বিভাগের যে প্রতিলিপি খোলা বাজারে এসেছে, তাতে একটি ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলার অভিযোগকারীর অ্যাকাউন্ট নম্বর লেখা রয়েছে। এই সমস্ত গোপন তথ্য খোলা বাজারে আসায় তা সাইবার প্রতারকদের হাতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটা হলে ফের প্রতারণা ঘটতে পারে। এপ্রসঙ্গে সাইবার বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ফটোকপি করার দোকানিরা অরিজিনালের অতিরিক্ত কপি নিজেদের কাছে রেখে দেন। আগেও এমন একাধিক কেসের তদন্তে দেখা গিয়েছে, ফটোকপি ব্যবসায়ী বিভিন্ন গ্রাহকের আধার, ভোটার কার্ড সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথির ফটোকপির অতিরিক্ত কপি রেখে দিয়েছেন। পরে তা থেকে প্রতারণা হয়েছে। তাই এবিষয়ে সাবধান হওয়া প্রয়োজন।