বঙ্গ রাজনীতির ভোটমুখী আবর্তের মধ্যেই আজ, সোমবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে রবিবার সন্ধ্যায় কালীঘাটের বাড়িতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন মমতা।
রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে যে মঞ্চ থেকে ‘সংযুক্ত মোর্চা’র ঐক্যবদ্ধ রূপ তুলে ধরার কথা ছিল, সেখানেই কাটল সুর। বাম, কংগ্রেস এবং আইএসএফ-এর মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে ব্রিগেডের জোট-মঞ্চেই নতুন করে তৈরি হল সংঘাতের আবহ।
কুলপি রোডে রাস্তার দু’পাশের দখল নিয়েছে বাইকের সারি। অটো, টোটোও বেশিরভাগ সময় দাঁড়িয়ে পড়ে মাঝরাস্তায়। ফলে যানজট লেগেই রয়েছে এই এলাকায়। পথচারীরাও বিরক্ত। সব মিলিয়ে দিনের পর দিন যান-যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের।
শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নতুন রূপে সেজে উঠতে চলেছে সিরিটি শ্মশান। প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি। বাড়ানো হবে চুল্লির সংখ্যা। থাকবে গঙ্গার জল ধরে রাখার ব্যবস্থা। শহরে শ্মশানগুলিতে মৃতদেহ সৎকারের চুল্লি বাড়ানোর বিষয়ে সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার কেন্দ্রীয় ভবনে একটি বৈঠক হয়। সেই অনুসারেই সিরিটি শ্মশানে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পুরসভার ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডে আট কাঠা জমির ওপর রয়েছে শ্মশানটি। তার পাশে প্রায় ৮০ কাঠা জায়গা জুড়ে রয়েছে পাম্পিং স্টেশন ও রিজার্ভার। সেই রিজার্ভারের উপর ফাঁকা জায়গায় একটি পার্ক তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে পুরসভার। এছাড়াও শ্মশান সম্প্রসারণে আরও ১৪ কাঠা জমি ইতিমধ্যে অধিগ্রহণ করেছে পুরসভা। সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তারক সিংহের নেতৃত্বে এলাকাটি দেখতে যান স্থানীয় ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর ও পুরসভার আধিকারিকরা। বর্তমানে এই শ্মশানে একটিমাত্র ইলেকট্রিক চুল্লি রয়েছে। শহরের বিভিন্ন শ্মশানে প্রতিদিন যে সংখ্যায় মৃতদেহ সৎকার করা হয়, সেই অনুপাতে সিরিটি শ্মশানে ক’টি দেহ সৎকার হয়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। সেই নিরিখে আরও ক’টি চুল্লি বসানো প্রয়োজন তা নিয়ে কথা হয়। ঠিক হয়েছে, আরও তিনটি ইলেকট্রিক চুল্লি এবং একটি কাঠের চুল্লি তৈরি করা হবে। বর্তমানে সেখানে একটি কাফেটেরিয়া রয়েছে। সেটিকেও সম্প্রসারণ করে শ্মশানের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে। পাশেই রয়েছে টালি নালা। জোয়ারের সময় সেখানে গঙ্গার জল ঢুকে যায়। জোয়ারের সেই জল রিজার্ভারে ধরে রাখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। যাতে প্রয়োজনে শ্মশানযাত্রীরা সেখান থেকে গঙ্গাজল মাথায় দিতে পারেন। এই প্রসঙ্গে তারক সিং বলেন, যদি ওখানে স্থান অতিরিক্ত পাওয়া যায় তাহলে একটি জলাশয় তৈরির ভাবনাচিন্তাও রয়েছে। ট্যাঙ্ক থেকে গঙ্গার জল নিয়ে প্রয়োজনে সেই পুকুরে স্নান করে আগতরা বাড়ি ফিরবেন। ইতিমধ্যেই প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি। জমা পড়েছে শীর্ষ কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে কত টাকা বরাদ্দ হবে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। কয়েক কোটি টাকা খরচ হওয়ার সম্ভাবনা। এই প্রসঙ্গে এক আধিকারিক বলেন, এক একটি ইলেকট্রিক চুল্লি বানাতে বিদ্যুৎ খরচ, চিমনি, নির্মাণ- সব মিলিয়ে অন্ততপক্ষে ১ কোটি ২০ লক্ষ থেকে দেড় কোটি টাকা প্রয়োজন। তার থেকে বেশি বই কম নয়। ফলে সেই হিসেব ধরলে শুধুমাত্র চুল্লি বানাতেই চার-পাঁচ কোটি টাকা খরচ হবে। পাশাপাশি, সম্প্রসারণের জন্য আনুষঙ্গিক নানাবিধ খরচ তো রয়েছেই।
