শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
রেলগেট পেরিয়ে থানার দিকে এগলে নজরে পড়বে রাস্তার দু’পাশে ছড়িয়ে ছটিয়ে বাইক দাঁড় করানো রয়েছে। ফলে মাঝপথেই যাত্রীর আশায় দাঁড়িয়ে থাকে অটো, টোটো। বিভিন্ন মলের সামনেও দাঁড়িয়ে থাকে একের পর এক বাইক। হাঁটাচলা করার পথটুকুও থাকে না। রেলগেট পড়লে অবস্থা আরও খারাপ হয়। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার গাড়ি চলাচল করে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের জেরে শুধু এলাকাবাসী নয়, স্থানীয় দোকানিরাও তিতিবিরক্ত। কয়েক হাজার মানুষকে এই পথ দিয়েই বারুইপুর কোর্ট, থানা, কাছারি বাজারে যেতে হয়। যানজটের কারণে অনেক সময় পুলিসের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্সও আটকে পড়ে। স্থানীয় লোকজনের কথায়, সন্ধ্যায় যানজট আরও বাড়ে। রাস্তা থেকে বাইক সরানোর কথা বললে উল্টে হুমকি দেয় চালকরা। যান নিয়ন্ত্রণে সিভিক পুলিসকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও তাঁদের কথা মানতে চান না বাইকচালকরা। এই সমস্যা নিয়ে পুর ও পুলিস প্রশাসন একাধিকবার বৈঠক করলেও কোনও কাজ হয়নি। তাঁদের কথায়, ভোটের দিকে তাকিয়েই যানজট নিয়ন্ত্রণে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এক সময়ে যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্যই বারুইপুরে রেললাইনের উপর উড়ালপুল তৈরি হয়েছিল। কিন্তু অটো, টোটো ও বাইকের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকায় তাতেও সমস্যা মেটেনি। রাস্তার ধারে বাইক, অটো, টোটো রাখা বন্ধ করতে হবে প্রশাসনকে। তবেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। বারুইপুরের পুর প্রশাসক শক্তি রায়চৌধুরী বলেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে আগেও ট্রাফিক পুলিসকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। আবার বিষয়টি তাঁদের জানানো হবে।