শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
সীতারাম ইয়েচুরি থেকে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র থেকে মহম্মদ সেলিম— সিপিএমের সব শীর্ষস্থানীয় নেতাই ভোটে জয়লাভের বিষয়ে প্রত্যয়ী মনোভাব দেখান। একইভাবে ব্রিগেডের ভিড়ের বহর দেখে আপ্লুত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও বিকল্প সরকার গঠন নিয়ে উচ্চগ্রামে নিশ্চিত মনোভাব ব্যক্ত করেন। আর এদিন ব্রিগেডের অন্যতম ‘তারকা বক্তা’ আব্বাস গলার স্বর সপ্তমে চড়িয়ে রাজ্যে মোর্চার সরকার গঠনের কথা বলেন। মোর্চার নেতারা সকলেই রাজ্যের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের পরিবেশের পাশাপাশি দুর্নীতির অভিযোগকেই যে তাঁদের প্রচারের হাতিয়ার করতে চান, তাও বুঝিয়ে দেন।
সরকার গঠনের বিষয়ে কেন তাঁরা এত প্রত্যয়ী? উত্তরও এদিন মোর্চা নেতৃত্ব তাদের ভাষণেই দেয়। তাদের মোদ্দা কথা, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার গোটা দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছে। কিছু পেটোয়া শিল্পপতির আর্থিক সুবিধাই মোদির একমাত্র লক্ষ্য। কৃষক, শ্রমিক সহ খেটে খাওয়া তামাম সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে বিজেপি জমানায়। সরকারের পদক্ষেপের প্রতিবাদীদের মোদির প্রশাসন রাষ্ট্রদ্রোহী তকমা সেঁটে দিচ্ছে। একইভাবে রাজ্যে তৃণমূল জমানায় বাংলার মানুষ পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি ও ব্যর্থতা দেখেছে দশ বছরে। বিজেপি’র সঙ্গে গোপন বোঝাপড়ায় এখন দুই শাসকদল নিজেদের মধ্যে ‘গট আপ গেম’ খেলছে। ভোটের মুখে একপক্ষ সিবিআই-ইডি’র জুজু দেখিয়ে কাজ হাসিল করতে চাইছে। অন্যপক্ষ পুলিস-সিআইডিকে ব্যবহার করে পাল্টা ভয় দেখাচ্ছে। কার্যত একই মুদ্রার দুই পিঠ এই দুই জনবিরোধী শাসকদল।
ভোটে যদি সংযুক্ত মোর্চা সরকার গঠনের ক্ষেত্রে নির্ণায়ক শক্তি হয়, তাহলে বামেরা কি তৃণমূলকে সমর্থন করবে? জনমানসে ওঠা এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে ইয়েচুরি এদিন বলেন, সেই পরিস্থিতি আসবে না। তবে অতীতে বাংলায় বিজেপিকে হাত ধরে নিয়ে আসা বা কেন্দ্রে তাদের সঙ্গে বারবার ক্ষমতা ভোগ করার তকমাধারী তৃণমূল সেই পরিস্থিতিতে কী করতে পারে, তা স্পষ্ট। ক্ষমতায় টিকে থাকতে মমতা ফের মোদির দলের সাহায্য নেবেন, তা একপ্রকার নিশ্চিত। তাই মানুষকে আমরা আগাম সতর্ক করছি এব্যাপারে।