শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
সমবায় দপ্তর সূত্রে খবর, রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় কয়েক হাজার কৃষি সমবায় সমিতি আছে। হাওড়া জেলাতেও প্রায় দেড়শো কৃষি সমবায় সমিতি আছে। আর গ্রামীণ এলাকার সিংহভাগ কৃষকের একমাত্র ভরসা এইসব সমিতি। সমিতিগুলি থেকে কৃষকরা একদিকে যেমন চাষবাসের জন্য ঋণ নেন, অন্যদিকে আবার সহজে সরকার নির্ধারিত সহায়ক মূল্যে ধান এখানে বিক্রি করেন। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতির বিরাট অংশ এই সমবায় সমিতিগুলির উপর নির্ভর করে। বহু সমবায় সমিতি আছে যারা বছরে ২০, ২৫, ৩০, এমনকী ৪০ কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেন করে থাকে। ফলে এইসব সমবায় সমিতিগুলির সমস্যা আরও বেড়েছে। জানা গিয়েছে, এই সমিতিগুলি কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ৫ শতাংশ হারে ঋণ নেয় এবং কৃষকদের ৭ শতাংশ হারে ঋন দেয়। সেক্ষেত্রে কৃষকদের কাছ থেকে পাওয়া টাকার উপর নির্ভর করে সমবায় সমিতিগুলির কর্মীদের বেতন থেকে শুরু করে অফিস পরিচালনার যাবতীয় ব্যয়ভার। পাশাপাশি সামান্য কিছু সরকারি সহয়তাও পেয়ে থাকে সমিতিগুলি। তবে সিংহভাগ কৃষি সমবায় সমিতি নির্ভর করে কৃষকদের সঙ্গে হওয়া লেনদেনের উপর। জানা গিয়েছে, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে আয়কর বিভাগ নির্দেশ জারি করেছে যে, এক কোটি টাকার উপর লেনদেন হলেই ২ শতাংশ হারে টিডিএস দিতে হবে সমিতিগুলিকে। এরপর গত ডিসেম্বর মাস থেকে সেটি লাগু করা হয়েছে। আর এতেই বিপাকে পড়েছে কৃষি সমবায় সমিতিগুলি।
এই প্রসঙ্গে হাওড়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের কর্তা নাজিমুল রহমান জানান, কৃষি সমবায় সমিতি বা প্যাকস (প্রাইমারি এগ্রিকালচারাল ক্রেডিট সোসাইটি) যখন কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিচ্ছে, তখন তাদের টিডিএস দিতে হচ্ছে। কিন্তু তারা কৃষকদের কাছ থেকে টিডিএস চার্জ নিতে পারছে না। ফলে তাদের লভ্যাংশে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এর ফলে কৃষি সমবায় সমিতিগুলি বিপাকে পড়ছে। আর এইসব সমিতি বিপাকে পড়লে কৃষকরাও সমস্যায় পড়বেন।
সেই কারণেই আমরা আয়কর বিভাগের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি জানান, সমস্যার বিষয়টি রাজ্য সরকারের মাধ্যমে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককেও জানানো হবে। এই প্রসঙ্গে উদয়নারায়ণপুরের এক প্যাকস-এর কর্তা দিলীপ ভৌমিক জানান, এর ফলে একদিকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে, অন্যদিকে ধান বিক্রির ক্ষেত্রেও কৃষকরা সমস্যায় পড়বেন।