শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
পিজি’র শিশু শল্য বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, এই দুই সমস্যা একযোগে দেখা যাওয়া বিরলের মধ্যে বিরলতম বলা যায়। তাঁদের চিকিৎসক জীবনে একটি শিশুর শরীরে একযোগে দুই সমস্যা তাঁরা আগে দেখেননি। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার অপারেশনে মিটল সমস্যা। নতুন করে ওই শিশুর স্ত্রীঅঙ্গ গঠন করে দিলেন চিকিৎসকরা। স্ত্রীঅঙ্গ ও ইউরিনের পৃথক ছিদ্রও গঠন করা হল। দু’টি স্ত্রীঅঙ্গ থাকার সমস্যাও মেটালেন তাঁরা।
কুসুম মণ্ডল (নাম পরিবর্তিত) নামে সাত বছরের শিশুটির মা শুক্রবার বলেন, ডাক্তারবাবুদের কাছে কীভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব? বলতে গেলে ওরা আমার মেয়েটিকে নতুন জীবন দিয়েছেন। কতদিন ধরে এখানে-ওখানে চিকিৎসা করাচ্ছি। সমস্যা মেটেনি। এখানে এসে শুনেছি, এই সমস্যার চিকিৎসা না হলে ও বড় হয়ে মাও হতে পারত না। যাঁর নেতৃত্বে ওই অপারেশন হয়, পিজি হাসপাতালের শিশু শল্য বিভাগের সেই অধ্যাপক ডাঃ ঋষভ দেব পাত্র ও অন্যতম সহযোগী ডাঃ অলককুমার সিনহা বলেন, প্রতি ১০ হাজার কন্যাসন্তানের মধ্যে ০.৬ শতাংশের ইউরোজেনিটাল সাইনাস হয়। সঙ্গে দু’টি স্ত্রীঅঙ্গ থাকা আরও বিরল। মেয়েটি এখন ভালো আছে। আশা করছি আর এক সপ্তাহের মধ্যে ওকে ছেড়ে দিতে পারব।পিজি সূত্রের খবর, হাসপাতালের সবচেয়ে বড় মেইন ব্লকের অ্যালেক্স ওয়ার্ডের ৩০ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়েছিল কুসুমকে। ৭ জানুয়ারি তার অপারেশন করা হয়। দীর্ঘপাঁচ ঘণ্টার এই অপারেশন চিকিৎসাশাস্ত্রে পরিচিত ‘টোটাল ইউরোজেনিটাল সাইনাস মোবিলাইজেশন’ (টাম) নামে। অস্ত্রোপচারের পর মেয়ের যাবতীয় সমস্যা মিটেছে। ফোনের ওপার থেকে মা ও মেয়ের হাসিমুখ কল্পনা করতে বিন্দুমাত্র সময় লাগল না।