গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
গত কয়েকদিন ধরেই উপকূল রক্ষী বাহিনীর কর্তারা এবং জওয়ানরা অতন্দ্র প্রহরীর মতো জেগে রয়েছেন। কোথাও যাতে কোনও খামতি না থাকে, তার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে সতর্ক বাহিনী। তাই জোয়ার-ভাটার সময় বিচার করে পুণ্যার্থীদের স্নান করতে পাঠানো হচ্ছে। অভিজিৎবাবু বলেন, পুণ্যস্নান করে যাতে সব পুণ্যার্থী নিরাপদে ফিরতে পারেন, সেটাই নজরে রাখা আমাদের কর্তব্য। সেজন্য আমরা গত কয়েকদিন ধরেই সতর্ক রয়েছি। স্নানপর্ব যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায়, তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত মূল স্নান পর্ব। এর মধ্যে দু’বার জোয়ার আসবে। তবে আমাদের নজর রাখতে হয় জোয়ারের পর যখন ভাটা আসে, তখন কেউ যেন ভেসে চলে না যায়। সেকারণেই প্রতিটি ক্ষেত্রে বাহিনীকে সতর্ক করে রাখা হয়েছে।
বর্তমানে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর (উত্তর-পূর্ব) সদর দপ্তরের অধীনে চারটি হোভারক্রাফ্ট রয়েছে। যেগুলি হলদিয়া স্টেশনে রাখা থাকে। সূত্রের খবর, মোট তিনটি হোভারক্রাফ্ট গঙ্গাসাগরের আসা পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন রাখা হয়েছে। দু’টি অনবরত জলে চলছে। অন্য দু’টি হলদিয়ায় প্রস্তুত রাখা রয়েছে।
উপকূল রক্ষী বাহিনী সূত্রে খবর, তাদের উত্তর-পূর্ব সদর দপ্তরের অধীনস্থ পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা মিলিয়ে মোট তিনটি রেডার স্টেশন রয়েছে। যার মধ্যে ওড়িশায় দু’টি-গোপালপুর ও পারাদ্বীপ এবং এরাজ্যে সাগরদ্বীপে। এই তিনটি রেডার স্টেশন মনিটরিং করা হয় হলদিয়া স্টেশন থেকে। সাগরদ্বীপে যে রেডার স্টেশন রয়েছে, তা দিয়ে গোটা গঙ্গাসাগর এবং সামুদ্রিক অংশটি নজরের আওতায় এনে ফেলেছে উপকূল রক্ষী বাহিনী। বাহিনীর এক কর্তার কথায়, হলদিয়া স্টেশন থেকে বৈদ্যুতিন ভিজিল্যান্স চালানো হচ্ছে। ১৫ জানুয়ারি বিকেলে স্নানপর্ব মিটে গেলেই তাঁদের কাজ অনেকটাই কমে যাবে। তবে সমুদ্রে ছোট ছোট চার্লি বোট এবং ডুবুরি বাহিনীও রয়েছে। এই বাহিনী রাজ্যকে এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে সাহায্য করতে সর্বদা সচেষ্ট।