কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
প্রসঙ্গত, শনিবার ভোরে জিটি রোডের ধার থেকে মাথা থেঁতলানো অবস্থায় মহম্মদ আনোয়াদের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার মানুষ। খবর পেয়ে পুলিস এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহম্মদ আনোয়ারের মগরাগঞ্জে চুড়ির দোকান রয়েছে। সেই দোকানে যাতায়াত ছিল লক্ষ্মীর। খদ্দের হিসাবে দোকানে যাতায়াতের সময়ই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। যদিও তার আগেই লক্ষ্মী তার স্বামীকে ত্যাগ করে ব্যান্ডেলে কৃষ্ণর সঙ্গে তার বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিল। যদিও আনোয়ারের সঙ্গে লক্ষ্মী প্রেমের সম্পর্ক তৈরির সময়ে কৃষ্ণর সঙ্গে নতুন সম্পর্ক রয়েছে বা তার বাড়িতেই থাকে তা গোপন করে গিয়েছিল। প্রায় বছরখানেক ধরেই তাদের প্রেম চলছিল।
স্বামীকে ছেড়ে একা রয়েছে বলে লক্ষ্মী সংসার খরচ চালানোর জন্য মাঝেমধ্যেই আনোয়ারের থেকে টাকা পয়সা নিত। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে পুলিস জানতে পেরেছে কিছুদিন আগেই আনোয়ার লক্ষ্মীকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। পাশাপাশি লক্ষ্মী যে আনোয়ারের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে কৃষ্ণ তা জানতে পারে। নতুন সম্পর্কের কথা জানার পরেই কৃষ্ণ ও লক্ষ্মীর মধ্যে অশান্তি হয়। এরপরেই আনোয়ারকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করে লক্ষ্মী ও কৃষ্ণ। তাই পরিকল্পনা মাফিক শুক্রবার অনেক রাতে লক্ষ্মী আনোয়ারকে ফোন করে ডাকে। শরীর খারাপ থাকলেও প্রেমিকার ডাক অমান্য করতে না পেরে মগরা পোস্ট অফিসের সামনে হাজির হয়। সেখানে আগে থেকেই হাজির ছিল কৃষ্ণ। আনোয়ার সেখানে যেতেই লক্ষ্মী ও কৃষ্ণ তাকে বেধড়ক মারধর করে বলে পুলিস জানতে পেরেছে।
অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় রাস্তা ঘাটে লোকজন ছিল না। তাই মারধরের সময়ে আনোয়ার চিৎকার কেউ শুনতে পায়নি। সেই সুযোগেই রাস্তার ধারে পড়ে থাকা ইট দিয়ে আনোয়ারকে থেঁতলে খুন করে দুজনেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। গ্রেপ্তারের পর পুলিসের টানা জেরায় কান্নায় ভেঙে পড়ে নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করে কৃষ্ণ ও লক্ষ্মী। তবে ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই আনোয়ারের পরিবার ও এলাকাবাসী অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন। এলাকাবাসীর দাবি, আনোয়ার পরোপকারী ছেলে ছিল। লক্ষ্মী সেই সুযোগ নিয়েই ওকে খুন করেছে। তাই এলাকার বাসিন্দারা চান সারা জীবন লক্ষ্মী জেলে পচে মরুক। যদিও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দু’জনেরই ফাঁসির দাবি তুলেছেন।