কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
রতন কর্মকারকে খুনের ঘটনায় শনিবার রাতে দিব্যেন্দু মালিক নামে আরও এক অভিযুক্তকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। এই নিয়ে এই ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার হল। সেও ঘটনার সময় ক্লাবঘরে হাজির ছিল এবং রতনবাবুকে মারধর করে বলে অভিযোগ। তাকে জেরা করেই অফিসাররা জানতে পেরেছেন, ক্লাবে রতনবাবুকে মারধরের ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক যুবককে এখানে এনে মারধর করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে টাকাপয়সা কেড়ে নেওয়া হতো। ধৃত পুলিসকে জানিয়েছে, রতন কর্মকারকে ধরার পর পুলিস হেফাজতে থাকা গৌর ফোন করে দিব্যেন্দুকে। তাকে হরিশা হাটে আসতে বলে। সেইমতো সে সেখানে হাজির হয়। গৌরের বাইক হাটেই ছিল। রতনবাবুকে মাঝখানে বসানো হয়। বাইকটি চালাচ্ছিল গৌর। পিছনে বসেছিল দিব্যেন্দু। রতনবাবু যাতে বাইক থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালাতে না পারেন, সেজন্য কোমর ধরে রেখেছিল দিব্যেন্দু। জেরায় দিব্যেন্দু এ কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিসের দাবি। ক্লাবে বেধড়ক মারধরে অচৈতন্য হয়ে পড়েন রতনবাবু। এরপরই সকলে ক্লাব ছেড়ে পালিয়ে যায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এত বড় ঘটনা ঘটে গিয়েছে বুঝতে পেরেই গৌর ক্লাবের এক সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাকে গোটা ঘটনার কথা জানায়। ওই সদস্যের সঙ্গে পরিচয় ছিল শাসক দলের এক নেতার। তিনি তাঁকে ফোন করেন। এরপর গৌরকে তাঁর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ওই নেতা জানিয়ে দেন, এই ধরনের অপরাধে যুক্ত ব্যক্তিদের তিনি কখনও প্রশ্রয় দেন না। সেখানে পাত্তা না পেয়ে এলাকায় ফিরে আসে গৌর। তারপর পরিচিত এক বন্ধুর বাইকে চড়ে আসে অরবিন্দ সেতুর কাছে। সেখান থেকে অন্য গাড়ি ধরে বেলঘরিয়ায় পালিয়ে যায়। পুলিস যাতে তার নাগাল না পায়, সেজন্য সিম খুলে ফেলে মোবাইল থেকে। পরে তার স্ত্রী ও মাকে থানায় ডেকে এনে জেরা করতেই জানা যায়, সে কোথায় লুকিয়ে রয়েছে। তবে ঘটনার পর গৌর ক্লাবের যে সদস্যকে ফোন করেছিল, তিনি বিষয়টি থানায় জানালেন না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সেই কারণে তাঁর ভূমিকা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাঁকে জেরার জন্য ডাকাও হতে পারে বলে খবর। পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে, ক্লাবের ওই সদস্যের এক সিভিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। পুলিস জেনেছে, তিনি নাকি তাঁকে ঘটনার কথা বলেছিলেন। সত্যিই ওই সিভিক ভলান্টিয়ার ঘটনার বিষয়ে জানতেন কি না, তা তদন্ত করে দেখছেন অফিসাররা।