কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
বিজ্ঞানের ৩২টি এবং প্রযুক্তির ৮টি বিভাগ রয়েছে রাজাবাজার, বালিগঞ্জ এবং সল্টলেক ক্যাম্পাস মিলিয়ে। সেগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা সুবিধাজনকও বটে। ল্যাবগুলিও একসঙ্গে থাকবে। বিভিন্ন সময় ন্যাক বা ওই ধরনের অন্য রেটিং সংস্থার পরিদর্শকরা এসে প্রশ্ন তুলেছেন, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কেন? প্রসঙ্গত, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরে পঠনপাঠন এবং পরীক্ষার যে সিবিসিএস পদ্ধতি চালু হয়েছে, তারও পরিপন্থী বিভিন্ন ক্যাম্পাসের দূরত্ব। কারণ, দূরত্বের কারণে এই পদ্ধতির বৈশিষ্ট অনুযায়ী অন্য বিষয় নিয়ে পড়াটা ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে অসুবিধার হবে। প্রাণীবিদ্যার কোনও ছাত্র যদি ইতিহাসের একটি পত্র তাঁর কোর্সে রাখতে চান, তাহলে তাঁকে বালিগঞ্জ থেকে কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে যাওয়া-আসা করতে হবে। যদিও, একাধিক বাস্তব সমস্যার কারণে সিবিসিএসের প্রস্তাবনা অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয় পড়ার ততটা স্বাধীনতা এ রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাখা সম্ভব হয়নি। তবে, সেই সমস্যাগুলির একটি ছিল এই দূরত্ব। প্রসঙ্গত, অন্য দু’টি ক্যাম্পাস নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে না পারলেও সল্টলেক ন্যানোটেকনোলজি ক্যাম্পাসে আন্তর্জাতিক মানের অতিথি নিবাস বানাতে চায় কর্তৃপক্ষ। বিদেশ থেকে বিভিন্ন প্রতিনিধিরা এলে তাঁদের পাঁচতারা হোটেলে রাখার জন্য মোটা টাকা খরচ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। এর ফলে, সেটাও বাঁচবে বলে আশা করছেন উপাচার্য।
গত সমাবর্তনেই বিশ্ববিদ্যালয়কে নিউটাউনে ক্যাম্পাস করার জন্য জমি এবং ১০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে দ্রুতই কাজ শুরু হবে। কলেজ স্ট্রিটে শুধুমাত্র প্রশাসনিক দপ্তরগুলি রেখে দেওয়ার ভাবনা অবশ্য সুরঞ্জন দাস উপাচার্য থাকার সময়েই শুরু হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। এদিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে একটি মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। তাতে আর্থিকভাবে অনগ্রসর শিশুরা তাদের মা-বাবার সঙ্গে এসেছিল। হেলথ চেকআপের পর তাদের হাতে বিস্কুট, মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন উপাচার্য নিজে।