কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
নিয়ম মেনে গাড়ি চালানোর গতিবিধি জানতে মোট ছ’টি শহরে সমীক্ষা চালায় নিশান। মুম্বই, দিল্লি, জয়পুর, লখনউ, বেঙ্গালুরু ও কলকাতায় আয়োজিত ওই সমীক্ষায় নিশানের দোসর হয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। চার চাকা গাড়ির সামনের আসনে সিট বেল্ট বাঁধা যেখানে অবশ্য কর্তব্য, সেখানে পিছনের সিটের যাত্রীরাও কতটা সেই নিয়ম মেনে চলে, এটাই ছিল সমীক্ষার অন্যতম ফোকাস। কিন্তু যাত্রী সুরক্ষার অন্যান্য দিকগুলিও সমীক্ষার ছাতার তলায় আনে ওই বহুজাতিক গাড়ি সংস্থা। সেখানেই হরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।
কী বলছে সমীক্ষাটি? তাদের দাবি, গাড়ির পিছনের সিটে সিটবেল্ট আছে, এ কথা ৭০.৫ শতাংশ যাত্রী জানলেও, তাঁদের মধ্যে মাত্র সাত শতাংশ সেই বেল্ট ব্যবহার করেন। কেন বাকিরা করেন না? ২৩.৯ শতাংশ মানুষ উত্তর দিয়েছেন, ওটা আবার কী উপকারে লাগবে? ৩৭.৮ শতাংশের দাবি, সামনের সিটে বেল্ট বাঁধার আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। কিন্তু পিছনের আসনের জন্যও তা আছে নাকি? ৯১ শতাংশের দাবি, পিছনের সিটে বেল্ট না বাঁধার জন্য ট্রাফিক পুলিস কোনওদিন তাঁদের ধরেনি।
আসা যাক শিশুদের সুরক্ষার কথায়। গাড়ি চালানোর সময় পিছনের সিটে শিশুদের বসানোর কথা যাঁরা স্বীকার করেছেন, তাঁদের মধ্যে ৭৭ শতাংশের বক্তব্য, শিশুরা সিট বেল্ট বাঁধে না। পিছনের সিটে শিশুদের বসালে, তাদের সুরক্ষার জন্য গাড়িতে আলাদা কিছু ব্যবস্থা রাখা হয়। চার চাকার যাত্রীদের ৭৫.৭ শতাংশ জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তাঁদের কিছু জানা নেই। আর যাঁরা জানেন, তাঁদের মাত্র ৩.৫ শতাংশ বলেছেন, মাঝেমধ্যে তাঁরা এসবের ব্যবহার করেন। দু’চাকা গাড়ির ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি বেশ খারাপ। এই দ্বিচক্র যানের ৯২.৮ শতাংশ যাত্রী জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত লাগা থেকে রক্ষা করে হেলমেট। কিন্তু তাঁদের মাত্র ২০.১ শতাংশ শিশুর জন্য হেলমেটের বন্দোবস্ত করেন। ৬৪.৮ শতাংশ মানুষ প্রশ্ন করেছেন, বাচ্চাদের হেলমেট পরার বিষয়টিও আবার আইনে আছে নাকি! স্কুল বাসের ক্ষেত্রে তো অবস্থা আরও করুণ। মাত্র ১১.২ শতাংশ স্কুলের ভ্যান বা বাস ড্রাইভার জানিয়েছেন, সব শিশুর জন্য সিট বেল্টের ব্যবস্থা আছে গাড়িতে।
গাড়ি চড়ায় সুরক্ষার প্রশ্নে কলকাতাও যে খুব উজ্জ্বল নয়, তা বুঝিয়েছে সমীক্ষায় উঠে আসা তথ্য। যেখানে সর্বভারতীয় স্তরে ৭০.৫ শতাংশ ব্যক্তি গাড়ির পিছনের আসনে বেল্টের বিষয়ে সজাগ, সেখানে কলকাতায় সেই হার মাত্র ৪৪ শতাংশ। মাত্র ৮.৫ শতাংশের দাবি, তাঁরা ওই বেল্ট ব্যবহার করেন। এ শহরে যাঁরা গাড়ি কেনেন, তাঁরা বাড়ির বাচ্চার সুরক্ষার ধার ধরেন না। পিছনের সিটে বসা শিশুটির সুরক্ষার জন্য আলাদা করে কোনও খরচ করতে রাজি নন ৮৬.২ শতাংশ ব্যক্তি। এখানেও ২০ শতাংশের কম স্কুল বাসে কোনও বেল্টের ব্যবস্থা নেই। এখানে মাত্র ৫৪ শতাংশ শিশু সমীক্ষাটিতে জানিয়েছে, তারা রাস্তায় বেরলে নিজেদের সুরক্ষিত মনে করে!