সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, এক বিঘা পাট চাষ করতে বীজ, সার, রক্ষণাবেক্ষণ ও খেতমজুরের পরিশ্রম মিলিয়ে খরচ হয় প্রায় চার হাজার টাকা। ওই এক বিঘা জমি থেকে প্রায় চার কুইন্টাল পাট পাওয়া যায়। তার বর্তমান পাইকারি মূল্য কুইন্টাল প্রতি সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা। অর্থাৎ এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করে লাভ থাকে প্রায় ১০ হাজার টাকা। আরামবাগের পুরশুড়া এলাকার পাট চাষি জয়দেব প্রামাণিক বলেন, এ বছর উম-পুনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে জমিতে দাঁড়িয়ে থাকা পাট গাছের মাথা ভেঙে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও যেটুকু ফলন বাঁচানো গিয়েছে। তা থেকে ভালোই পাট মিলেছে। লকডাউনের বাজারেও এর চাহিদা রয়েছে। তাই সব্জি, ধান, তিল ইত্যাদি চাষের ক্ষতি হলেও পাটে সেই অর্থে ক্ষতি নেই। বরং লাভই রয়েছে। যদিও খানাকুলের পাট চাষিদের অনেকের দাবি, নদীর পার্শ্ববর্তী বেশ কিছু এলাকায় জল জমে গিয়েছে। তাই চাষের ক্ষেত্রে আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের প্রায় ৪০ লক্ষ কৃষকের রুটি-রুজি পাট চাষের উপর নির্ভরশীল। রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ বিভিন্ন জেলায় পাট চাষ হয়। এছাড়া দেশের ৮০ শতাংশ পাট উৎপাদন হয় পশ্চিমবঙ্গে। পরিসংখ্যানের নিরিখে বিশ্বের উৎপাদিত ৫০ শতাংশ পাট উৎপাদিত হয় এরাজ্যে। বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির হাত ধরে এই চাষের দক্ষতা বাড়িয়েছেন চাষিরা। উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি পাটের রং, মান, দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। রাজ্যের প্রায় ৮৫ হাজার চাষি ৬০ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে এখন পাটচাষ করছেন। সাধারণত চাষের প্রায় ১২০ দিন পর পাট কাটা হয়। তারপর সপ্তাহ খানেক ওই জমিতেই পাটের পাতা ঝরানোর জন্য গাছ ফেলে রাখা হয়। পরে তা জলা জমিতে জাঁক দেওয়া হয়। দোআঁশ মাটিই এই চাষের জন্য শ্রেয়। সেই সঙ্গে প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া। আরামবাগ ও মুর্শিদাবাদে তোলা নিজস্ব চিত্র