বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এবার অসময়ে ভারী বৃষ্টির জন্য উত্তর ভারত ও এরাজ্যে আলু চাষ হতে অনেকটা দেরি হয়েছে। বৃষ্টিতে মাঠে লাগানো আলুর ক্ষতিও হয়। ফলে নতুন করে চাষ করতে হয়েছে। এই কারণে নতুন আলু আসতে দেরি হচ্ছে। তা না হলে শীতকালে এই সময়ে নতুন আলুতে বাজার ভরে যায়। কিন্তু এখন বাজার ঘুরলে দুই-এক জনের কাছে অল্প পরিমাণে নতুন আলুর দেখা মিলছে।
ব্যবসায়ী মহলের বক্তব্য, পাঞ্জাব-উত্তরপ্রদেশে এখন ৫০ কেজি নতুন আলুর প্যাকেটের দাম ১১০০-১২০০ টাকা। কেজি প্রতি দাম পড়ছে ২২-২৪ টাকা। কলকাতায় নিয়ে আসতে গেলে পরিবহণ খরচ ধরে ওই আলুর দাম কেজিতে প্রায় ২৭ টাকা হয়ে যাবে। নতুন আলু খুচরো বাজারে বিক্রি হবে অন্তত ৩০ টাকা দরে। এত বেশি দাম পড়ে যাওয়ার জন্য ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে বেশি পরিমাণে আলু নিয়ে আসার ঝুঁকি নিচ্ছেন না। তবে উত্তর ভারতে নতুন আলু ওঠার মাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও বেশি পরিমাণে ভিন রাজ্যের আলু বাজারে আসতে পারে। তবে তাতে এখনই দাম বিশেষ কমার সম্ভাবনা নেই বলে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন।
হিমঘরে সংরক্ষিত আলু বের হওয়ার পর এখন কেজিতে দাম পড়ছে ২২-২৩ টাকা। বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সামান্য পরিমাণে নতুন আলু উঠতে শুরু করছে। সেখানে এখন কৃষকরা কেজিতে ২০ টাকার আশপাশে দাম পেয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় পাইকারি বাজারে ২২-২৩ টাকা কেজি দরে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে। কলকাতায় নিয়ে এসে বিক্রি করলে বাজারে এর দাম ৩০ টাকার আশাপাশে চলে আসবে।
হিমঘরে এখন দুই লক্ষ টনের মতো আলু রয়েছে বলে হিমঘর মালিকদের সংগঠনের সভাপতি পতিতপাবন দে জানিয়েছেন। অল্প পরিমাণ আলু ওড়িশা, অন্ধ্র প্রভৃতি রাজ্যে যাচ্ছে। জানুয়ারির প্রথমার্ধ পর্যন্ত হিমঘরের আলু দিয়ে রাজ্যের বাজারের চাহিদা মেটানো যাবে বলে মনে করেন প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি লালু মুখোপাধ্যায়। তার মধ্যে নতুন আলুর ভালো জোগান এসে যাবে বলে তিনি আশাবাদী। তবে আলুর দাম চড়া থাকলেও শীতের সব্জির দাম কিছুটা কমেছে। আগামীদিনে শীতের সব্জির দাম আরও কমতে পারে। এতে আলুর চাহিদা কিছুটা কমবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।