সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
আয়াখস-৪ (আব্রাহাম-আত্মঘাতী, প্রোমস, কেপা-আত্মঘাতী, ডে বিক)
লন্ডন, ৬ নভেম্বর: স্টামফোর্ড ব্রিজে আট গোলের থ্রিলারের সাক্ষী থাকল প্রায় চল্লিশ হাজার ফুটবলপ্রেমী। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ-এইচ’এর ম্যাচে টানটান লড়াই হল চেলসি ও আয়াখসের মধ্যে। প্রথমার্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবল মেলে ধরে ৩-১ গোলে এগিয়ে ছিল ডাচ ক্লাবটি। শুধু তাই নয়, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে চতুর্থ গোলও তুলে নেয় তারা। প্রিয় দলের দুরবস্থা দেখতে না পেরে চেলসির অনেক সমর্থকই বাড়ির পথ ধরেন। কিন্তু এরপরেই বদলাতে থাকে ম্যাচের চিত্র। ক্রমশ পাল্টা চাপ বাড়ায় চেলসি। ৬৮ এবং ৬৯ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন আয়াখসের ব্লাইন্ড ও ভেল্টম্যান। ফলে ম্যাচের বাকি সময় ন’জনে খেলতে হয় এরিক টেন হ্যাগের দলকে। ঘরের মাঠে আনুপাতিক সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিতে ভোলেনি চেলসি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ড্র হয় ৪-৪ গোলে। এই ড্রয়ের ফলে চেলসি ও আয়াখস, দুই দলই চার পয়েন্ট সাত ম্যাচ ঘরে তুলল। এই গ্রুপের অপর দল ভ্যালেন্সিয়াও চার ম্যাচে সমসংখ্যক পয়েন্ট পেয়েছে। তবে তিন দলের মধ্যে হেড টু হেড গোলের নিরিখে এগিয়ে আয়াখস। দ্বিতীয় চেলসি ও তৃতীয় ভ্যালেন্সিয়া।
ম্যাচের শেষে ফুটবলারদের লড়াকু মানসিকতার প্রশংসা করেও আয়াখস কোচ এরিক টেন হ্যাগ বলেন, ‘দু’মিনিটের মধ্যে দু’টি লাল কার্ড দেখাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। এছাড়া ভার প্রযুক্তি এবং রেফারির জন্য আমরা জিততে পারিনি। তবে স্টামফোর্ড ব্রিজে এসে যে ফুটবল ছেলেরা খেলেছে তা নিশ্চয়ই সবাই দেখেছেন। এবার বেশ কিছু ফুটবলার দল ছাড়লেও আয়াখসের ফুটবল দর্শন বদলায়নি। এটাই সবচেয়ে বড় কথা। এখন আমাদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক-আউট পর্বে পৌঁছানো।’ চেলসির কোচ ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড বলেছেন, ‘দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে যাঁরা মাঠ ছেড়েছেন তাঁদের জন্য আমার আপশোস হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত খেলা দেখলে তাঁরা আনন্দই পেতেন। এই দুরন্ত কামব্যাকের জন্য ফুটবলারদের ধন্যবাদ। তবে জিততে পারলে আরও ভালো লাগত।’
আমস্টারডামের জোহান ক্রুয়েফ এরিনায় চেলসি ১-০ গোলে হারিয়েছিল আয়াখসকে। সেই হারের বদলা নিতে মঙ্গলবার শুরু থেকেই চূড়ান্ত আক্রমণাত্মক ফুটবল মেলে ধরে এরিক টেন হ্যাগের দল। দ্বিতীয় মিনিটে আব্রাহামের আত্মঘাতী গোলে লিড নেয় আয়াখস (১-০)। ফ্রি-কিক থেকে ভেসে আসা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের গোলেই বল ঢুকিয়ে দেন তিনি। তবে এই ব্যবধান দীর্ঘায়িত হয়নি। ৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে চেলসিকে সমতায় ফেরান জর্জিনহো। এরপর ক্রমশ ম্যাচে জাঁকিয়ে বসে আয়াখস। দ্রুতগতির পাসিং ফুটবল মেলে ধরে তারা চেলসিকে ছিঁড়ে খায়। ২০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল প্রোমসের (২-১)। তাঁকে বল বাড়িয়েছিলেন জিয়েখ। এর মিনিট ১৫ পরে জিয়েখের ফ্রি-কিক পোস্টে ধাক্কা খেয়ে চেলসির গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগার মুখে লেগে গোলে ঢোকে (৩-১)। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফন ডে বিকের গোল সমস্যা আরও বাড়ায় চেলসির (৪-১)। এরপর মাউন্টকে তুলে হাডসন-ওডোইকে মাঠে নামান ব্লুজ কোচ ল্যাম্পার্ড। ৬৩ মিনিটে চেলসির দ্বিতীয় গোল আজপিলিকুয়েতার। মিনিট ছয়েক পরে আব্রহামকে ধাক্কা মেরে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ব্লাইন্ড। দু’মিনিটের মধ্যে বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করায় লাল কার্ড দেখতে হয় ভেল্টম্যানকে। পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান চেলসির জর্জিনহো (৪-৩)। ৭৪ মিনিটে জেমসের গোলে মূল্যবান এক পয়েন্ট পায় চেলসি (৪-৪)।