শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
সম্প্রতি পুজোর বিধি বেঁধে দেওয়ার সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, হাওয়া বাতাস খেলার জন্য খোলামেলা প্যান্ডেল, মাস্ক ও স্যানিটাইজার আবশ্যিক। এ কথা মাথায় রেখে রামপুরহাটের নবীন সঙ্ঘের এবারের থিম, ‘মা গো রক্ষা করো, করোনা বিদায় করো’। কমিটির কর্মকর্তা উজ্জ্বল ধীবর বলেন, গতবার বাজেট ছিল ১৫ লক্ষ টাকা। এবার করোনা পরিস্থিতিতে বাজেট তিন লক্ষ টাকায় নেমেছে। তবে, মৃৎশিল্পীদের আর্থিক সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে দুর্গার মূর্তি একই সাইজের থাকছে। মণ্ডপের ভিতরে থাকবে ১০০টি মাটির তৈরি দুর্গার মুখ। প্রতিটি মুখে মাস্ক পরানো থাকবে। এছাড়া চটের তৈরি প্যান্ডেলে বিভিন্ন সাইজের মাস্ক থাকবে। আমরা বার্তা দিতে চাইছি, মাস্ক ব্যবহারই করোনা থেকে বাঁচার একমাত্র পথ।
এছাড়া পাড়াজুড়ে মাইক লাগানো হবে। যাঁরা বয়স্ক, এই সংক্রমণ আবহে যাঁদের বাইরে বের হওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, তাঁরা মাইকে মন্ত্রপাঠ শুনে বাড়িতেই অঞ্জলি দেবেন। পরে ক্লাবের সদস্যরা সেইসব বাড়িতে প্রসাদ পৌঁছে দেবেন। শহরের অন্যতম বিগ বাজেটের পুজো হিসেবে পরিচিত তরুণের আহ্বান। এবার তাদের বাজেট অনেকটাই কমিয়ে এনেছে।
আড়াই লক্ষ টাকা বাজেট ধরে তারা পুজোর আয়োজন করেছে। তবে, তাদের মণ্ডপে দেখা মিলবে করোনা হিরোদের।
কমিটির কর্তা কৃষ্ণচৌধুরী বলেন, পুলিস থেকে স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিকরা কীভাবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তা তুলে ধরা হবে। সেজন্য বেশকিছু খড় ও রং দিয়ে অবয়ব তৈরি করা হচ্ছে। মূর্তি থাকছে সাবেকি। অধিকাংশ টাকা খরচ করা হবে করোনা সচেতনতামূলক প্রচারে। মণ্ডপও হচ্ছে খোলামেলা, আলোর আতিশয্য থাকছে না। মণ্ডপে স্যানিটাইজার ও মাস্ক থাকবে।
এবার চাঁদা না তুলেই পুজো করছে শহরের অন্যতম হাটতলা সর্বজনীন পুজো কমিটি। এবার তাদের বাজেট নেমে এসেছে তিন লক্ষ টাকায়। কাল্পনিক রাজবাড়ির আদলে বড় একটি মণ্ডপ হচ্ছে। মূর্তি সাবেকি। পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য প্রশান্ত রায় বলেন, কাপড় দিয়ে খোলামেলা মণ্ডপ হবে। স্যানিটাইজার টানেল বসানো হচ্ছে। যাঁরা ভিড় এড়াতে মণ্ডপে আসবেন না, তাঁরা আমাদের ফেসবুক পেজে লাইভ পুজো, অঞ্জলি দেওয়া, প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত মণ্ডপের দৃশ্য লাইভ করা হবে।
নিশ্চিন্তপুর পূর্ব সর্বজনীন পুজো কমিটির বাজেটও এবারে তিন লক্ষ টাকা। পুজো কমিটির এক কর্তা কৌশিক আইচ বলেন, মানুষকে করোনা সম্পর্কে আরও সচেতন করা এবার আমাদের লক্ষ্য। মণ্ডপজুড়ে তারই বার্তা থাকবে। তিনি বলেন, এই অল্প বাজেট থেকেও আমরা প্রত্যন্ত দু’টি গ্রামের অসহায় ৫০টি পরিবারে নতুন জামাকাপড় দেওয়ার সংকল্প নিয়েছি।