শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার মোট ২৮টি সাপ্লাই স্টেশন রয়েছে। তারমধ্যে কাঁথি, পটাশপুর, অমর্ষি, খেজুরি ও পাঁশকুড়া সাপ্লাই এলাকা ‘রেডজোন’ হিসেবে চিহ্নিত। অর্থাৎ ওই সব এলাকায় বিদ্যুৎ চুরি সবচেয়ে বেশি। এর ফলে বণ্টন সংস্থার লোকসান বাড়ছে। বিদ্যুৎ চুরি আটকানোর জন্য জেলায় দু’টি লস প্রিভেনশন সেল(এলপিসি) আছে। তাতে একজন করে অবসরপ্রাপ্ত ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার, একজন ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার (ইলেক্ট্রিক্যাল) এবং দু’জন টেকনিক্যাল পার্সন থাকেন। তমলুক এবং হলদিয়া মহকুমার জন্য একটি এবং কাঁথি ও এগরা মহকুমার জন্য আরও একটি এলপিসি রয়েছে। গত মার্চ মাস থেকে গোটা রাজ্যের সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেও বিদ্যুৎ চুরির বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ। যেকারণে ওই সেলের সদস্যদের বিকল মিটার চেকিংয়ের কাজে লাগানো হয়েছিল।
পুজোর মুখে দেদার বিদ্যুৎ চুরির খবর পেয়ে বণ্টন সংস্থার কোলাঘাট স্টেশন ম্যানেজার সন্দীপ ঘোষাল সম্প্রতি টিম নিয়ে কুলিয়া গ্রামে অভিযানে যান। সেখানে হুকিং করে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছিল। সন্দীপবাবু স্থানীয় বাসিন্দা ভগীরথ দাসের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ এনে এফআইআর করেন। বিদ্যুৎ চুরি করে একটি মিল চালানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এছাড়াও মেচেদা সংলগ্ন বাড়বহলা গ্রামে বিদ্যুৎ চুরি করে বাড়িতে ব্যবহার করার অভিযোগে মিহির বেরা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেন।
‘রেডজোন’ এলাকায় লোকসান কমাতে বিদ্যুৎ চুরির বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নির্দেশ রয়েছে। একই সঙ্গে যেসব এলাকা থেকে বিদ্যুৎ চুরি নিয়ে অভিযোগ আসবে, সেখানে স্টেশন ম্যানেজারদের টিম নিয়ে হানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লকডাউনে দীর্ঘ কয়েক মাস বিদ্যুৎ চুরি নিয়ে একটিও অভিযান হয়নি। তাতে হুকিংয়ের প্রবণতা আরও বেড়েছে। তাছাড়া গত ২০মে উম-পুন সাইক্লোনে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ও মিটার বক্স ভেঙেচুরে যাওয়ায় অনেকেই এখনও হুকিং করে যাচ্ছেন। এধরনের ঘটনা আটকাতে না পারলে বণ্টন সংস্থার আর্থিক লোকসানের বহর বাড়বে। লোকসান কমানোর জন্য বণ্টন সংস্থা সবকরম পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেকথা মাথায় রেখে বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান শুরু হয়েছে।
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তমলুকের রিজিওনাল ম্যানেজার শ্যামলকুমার হাজরা বলেন, যেসব জায়গা থেকে বিদ্যুৎ চুরি নিয়ে অভিযোগ আসছে, সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে। কয়েকটি জায়গায় এরকম এফআইআর হয়েছে। আমাদের জেলায় বেশ কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুৎ চুরির হার বেশি। এরকম পাঁচটি সাপ্লাই স্টেশন রয়েছে। বিদ্যুৎ চুরি আটকানোর লক্ষ্যে দু’টি এলপিসি সেল আছে। কিন্তু, করোনা মহামারীতে এলপিসি কোনও কাজ করেনি। এখন কিছু কিছু জায়গায় অভিযান চলছে।