শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
রাজ্য সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট দীর্ঘদিন ধরে বয়স্ক গরিব ব্রাহ্মণদের ‘পুরোহিত ভাতা’র দাবিতে আন্দোলন করছে। ওই সংগঠন অনেকটাই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কেন্দ্রিক। সংগঠনের সম্পাদক শ্রীধর মিশ্র এবং সভাপতি মধুসূদন মিশ্র দু’জনেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দা। গত ১৩ সেপ্টেম্বর সংগঠনের মুখ্য উপদেষ্টা তথা বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মেচেদা সংলগ্ন শান্তিপুরে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শিলান্যাস করেছেন। তারপর একদিন পর ১৫ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী পুরোহিত ভাতা ঘোষণা করেন। দরিদ্র এবং বয়স্ক পুরোহিতরা মাসে এক হাজার টাকা ভাতা পাবেন। প্রথম পর্যায়ে নামের তালিকা প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে এবং দরিদ্র পুরোহিতদের নিয়েই তালিকা তৈরি হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক, শহিদ মাতঙ্গিনী এবং নন্দকুমার ব্লকে উপভোক্তার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এসসি, এসটি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ফিনান্স কর্পোরেশনের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার পৃথ্বীমান মিত্রকে পুরোহিত ভাতার বেনিফিসিয়ারি তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। বিভিন্ন ব্লক ও মহকুমা শাসকের অফিস থেকে আসা আবেদনপত্র স্ক্রুটিনি করার কাজ চলছে ওই অফিসে। তারপর তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর পাঠানো হচ্ছে রাজ্যে। পৃথ্বীমানবাবু বলেন, আবেদন করার জন্য একটি ফর্ম রয়েছে। সেটি পূরণ করে বিডিও এবং এসডিও অফিসে জমা করতে হবে। আমাদের জেলা থেকে প্রথম ধাপে ১৫৮০ জনের নাম চূড়ান্ত করে রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। আরও কয়েক হাজার ফর্ম খতিয়ে দেখা বাকি আছে। প্রতিদিন প্রচুর আবেদনপত্র জমা পড়ছে।
রাজ্য সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের সম্পাদক শ্রীধরবাবু বলেন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৪৪ হাজার ৭১৩ জন ব্রাহ্মণ আছেন। তাঁদের মধ্যে অনেক বয়স্ক ও গরিব ব্রাহ্মণ রয়েছেন। প্রবীণরা সেভাবে পুজো-আর্চা করতে পারেন না। অনেকেই আর্থিক সঙ্কটে ভুগছেন। আমরা এরকম ২৪০০ জনের নামের তালিকা সংগ্রহ করে জেলাশাসককে দিয়েছিলাম। এখন বয়স্ক এবং দুঃস্থদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে ৬০ বছরের কম বয়সি দুঃস্থদের ভাতা দেওয়ার দাবি জানিয়েছি আমরা। পুরোহিত ভাতা চালু করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই।