সংবাদদাতা, পূর্বস্থলী: নাদনঘাটে আদিবাসী বধূকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থানায় বিক্ষোভ দেখাল একটি আদিবাসী সংগঠন। এদিন দুপুরে পূর্বস্থলী ও কালনা অঞ্চলের আদিবাসীরা নাদনঘাট থানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। তারপর তাঁরা একটি স্মারকলিপি জমা দেন। তাঁদের দাবি, শাঁকরা আদবাসী পাড়ার বধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে হবে। সংগঠনের এক সদস্যা সরস্বতী মাণ্ডি বলেন, আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে থানায় ডেপুটেশন দিতে আসিনি। নির্যাতিতা আদিবাসী গৃহবধূর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছি। এদিন এই ঘটনায় ধৃত ডাক্তার হেমব্রমকে কালনা মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃতকে পাঁচদিন পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি এদিন নির্যাতিতা গৃহবধূ বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন।
এই গণধর্ষণের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। এ ব্যাপারে বিজেপির নাদনঘাটের মণ্ডল সভাপতি সৌমেন রায় বলেন, যাঁকে আটক করা হয়েছিল তাঁর দাদা আমাদের বুথ কমিটির সভাপতি। কিন্তু, যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে আমাদের দলের কেউই নয়। আমাদের দলের নামে মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে শাঁকরার আদিবাসীপাড়ার এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার স্বামী ওই রাতে বাড়িতে ছিলেন না। ধর্ষণের ঘটনা শ্বশুর, শ্বাশুড়িকে খুলে বলেছিলেন তিনি। বুধবার সকালে নাগাদ তাকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নাদনঘাট থানার পুলিস হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করে। এরপর মুণ্ডুমালা আদিবাসীপাড়া থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ওই গৃহবধূ কালনার খড়িনানে তাঁর বাপেরবাড়ি চলে গিয়েছেন। এদিন বিকেলে নির্যাতিতার বাপেরবাড়িতে যান রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি ওই বধূকে জানিয়েছেন, ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে।