উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
জলঙ্গি বা ডোমকল থেকে তেহট্ট খুব বেশি দূরে নয়। মহকুমার একটা দিক বরাবর বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। মহকুমার প্রায় ৫০কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা রয়েছে। তারমধ্যে বেশকিছু জায়গায় কাঁটাতার নেই। সেইসব জায়গা দিয়ে অনায়াসে যে কেউ যখন তখন ওপারে চলে যেতে পারে। সেইসব জায়গা বা অন্যভাবে যাতে কেউ চোরাপথে বাংলাদেশে পালাতে না পারে সেইজন্য সীমান্তে রাস্তা বরাবর টহলদারি শুরু হয়েছে। কেউ যাতে চোরাপথে সীমান্তের কাঁটাতার টপকে বাংলাদেশে গা ঢাকা দিতে না পারে সবরকম নজরদারি চলছে। নজরদারি বাড়ায় সীমান্তে পাচারের চেষ্টা হলেও আটকানো যাবে।
মুর্শিদাবাদে জঙ্গিরা গ্রেপ্তারের পরই সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের আশপাশের এলাকায় অপরিচিত মুখ দেখলেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বাহিনীর জওয়ানরা। এছাড়াও কাঁটাতার লাগোয়া জমিতে কাজ করতে যাওয়া চাষিদের উপরও সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। কারণ চাষির ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে থাকা কোনও আল কায়েদা জঙ্গি সুযোগ বুঝে কাঁটাতার টপকে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কাঁটাতারের ওপারে জমিতে চাষ করতে যাওয়া কৃষকদের তল্লাশিও করছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। কাঁটাতারে পেরিয়ে জমিতে কাজ করতে যাওয়া চাষিদের কথায়, বিএসএফ সারাবছরই নজরদারি চালায়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতে নজরদারি আরও বেড়েছে। বর্ডারে কাজ করতে গেলে আমাদের সঙ্গে পরিচয়পত্র রাখতে বলা হয়েছে। চাষিরা বলেন, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কোনও সন্দেহ হলেই তল্লাশি করছে। তবে দেশের স্বার্থে এই তল্লাশি আমরা মেনে নিচ্ছি। দেশের মাটিতে বসে দেশবিরোধী কার্যকলাপ মানা যায় না। দ্রুত বাকি জঙ্গিদেরও গ্রেপ্তার করুক এনআইএ।
বিএসএফের এক আধিকারিক বলেন, মুর্শিদাবাদ থেকে বেশ কয়েকজন আল-কায়েদা জঙ্গি গ্রেপ্তার হয়েছে। আরও বেশকিছু জঙ্গি আত্মগোপন করে আছে বলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে। সেই কারণে তেহট্ট মহকুমা এলাকার নাটনা, সাহাপুর, বিষ্টুগঞ্জ, লালবাজার, বেতাই, নফরচন্দ্রপুর ভাটুপাড়া, ইলসামারি, নন্দনপুর, শিকারপুর সহ সমস্ত বিএসএফ ক্যাম্প সীমান্তে নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। দেশের স্বার্থে চাষিদের তল্লাশি করা হতে পারে। তা মানার জন্য চাষিদের বলা হয়েছে।
বিষ্টুগঞ্জ বিএসএফ ক্যাম্পের ৮৪ব্যাটেলিয়ানের অ্যাসিস্ট্যান্ট কোম্পানি কমান্ডার ধর্মেন্দ্র ত্রিপাঠি বলেন, বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর আমাদের যত চৌকি রয়েছে সমস্ত জায়গায় জওয়ানদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। কোনও আল-কায়েদা জঙ্গি যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়াও রাতে নজরদারির জন্য নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। এলাকার সাধারণ মানুষ ও কৃষিজীবীদের সীমান্তে কাজ করতে গেলে পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে।