বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
এব্যাপারে জঙ্গিপুর কলেজের অধ্যক্ষ নবকুমার ঘোষ ত্রুটি স্বীকার করে নিয়ে বলেন, বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলারকে জানিয়েছি। তিনি ফের পরীক্ষার দিন ঘোষণা করবেন। তবে, এদিন একই প্রশ্নপত্রে রেগুলার পড়ুয়াদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। পুরনো সিলেবাসের পড়ুয়াদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্রসহ পরীক্ষার খাতা এক ঘণ্টা পর ফেরত নেওয়া হয়েছে।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিএ জেনারেল বিভাগের পড়ুয়াদের বাংলা পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা দিতে না পারা ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ নতুন সিলেবাস অনুসারে প্রশ্নপত্র তৈরি করেছে। কিন্তু পুরনো সিলেবাসের পড়ুয়াদের এই পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। ওরঙ্গাবাদ ডিএনসি কলেজের ছাত্র সুজয় রায় বলেন, আমি তৃতীয় সেমেস্টারের ছাত্র। তবে প্রথম সেমেস্টারের বাংলা পরীক্ষায় ব্যাক ছিল, পরীক্ষা দিতে এসে প্রশ্নপত্র দেখে আকাশ থেকে পড়ি। আমরা পুরনো সিলেবাসের ছাত্র হওয়ায় নতুন সিলেবাস সম্পর্কে কিছুই জানি না। সুস্মিতা দাস বলেন, আমরা নতুন সিলেবাস অনুযায়ী পড়িনি। ঈশপ সাহা বলেন, পুরনো সিলেবাস অনুসারে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়নি। কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রথমে মানতে চায়নি। পরে জোরালো প্রতিবাদ করায় কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রশ্নপত্র সহ পরীক্ষার খাতা ফিরিয়ে নেয়। নতুনভাবে পুরনো সিলেবাসের পরীক্ষা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অসুস্থতার জন্য প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা দিতে পারিনি।
অন্যদিকে, এদিন পরীক্ষা দেওয়া রেগুলার প্রথম সেমেস্টারের ছাত্র সমীরণ সরকার বলেন, আমাদের কোনও সমস্যা হয়নি, প্রশ্নপত্র ঠিকই ছিল। পুরনো সিলেবাসের ছাত্রছাত্রীদের কথা কর্তৃপক্ষ কেন ভুলে গেল সেটাই আশ্চর্যের। আবার নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া উচিত। অধ্যক্ষ আরও বলেন, ওল্ড সিলেবাসের পড়ুয়াদের প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়নি বলে কন্ট্রোলার জানিয়েছেন। তবে শীঘ্রই আবার পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হবে।
অন্যদিকে, এদিন সিলেবাস বহির্ভূত প্রশ্ন আসার অভিযোগ তুলে কান্দি রাজ কলেজের শতাধিক পরীক্ষার্থী সাদা খাতা জমা দেন। এদিন ওই কলেজে বিএ জেনারেল প্রথম বর্ষের প্রথম সেমেস্টারের বাংলা পরীক্ষা ছিল। ছাত্রছাত্রীরা সাদা খাতা জমা দিয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়।
পরীক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কলেজ থেকে প্রায় সাড়ে ৪০০জন পরীক্ষা দিচ্ছেন। মঙ্গলবার তাঁদের ফিজিওলজির পর এদিনও বাংলা প্রশ্নপত্রেও সিলেবাস বহির্ভূত প্রশ্ন রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। পরীক্ষার্থীরা সাদা খাতা জমা দিয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে রাখেন। পরীক্ষার্থী সায়ন্তন চট্টোপাধ্যায়, অনিমেশ মণ্ডল বলেন, সিলেবাস বহির্ভূত প্রশ্নের জন্য সাদা খাতা দেওয়া হয়েছে। এজন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয় দায়ী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেও নতুন সিলেবাস সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।
যদিও প্রায় ৩০মিনিট ঘেরাও থাকার পর কলেজের অধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরীক্ষার্থীদের আস্বস্ত করলে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাসিরুদ্দিন মণ্ডল বলেন, পরীক্ষায় সিলেবাস বহির্ভূত প্রশ্নপত্র থাকার কারণে পরীক্ষার্থীরা অনেকে সাদা খাতা জমা দিয়েছেন। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে সিলেবাস পরিবর্তনের বিষয়টি আপডেটও করা হয়নি। তাই অনেকে সমস্যায় পড়েছেন। এছাড়াও অনেক ছাত্রছাত্রী ঠিকমতো ক্লাস করেন না। তাঁদের সমস্যা বেশি হয়েছে।