বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
বেলগড়িয়া-১ পঞ্চায়েতের ফুলিয়াপাড়া এলাকায় সোমবারের মতো মঙ্গলবারও পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অনেকেই এদিন পায়ের ছাপ দেখতে ভিড় জমান। এর আগেও ফুলিয়ার চটকাতলা এলাকায় প্রথম অজানা প্রাণীর ডাক শুনতে পাওয়া যায়। কিন্তু নতুন করে বেলগড়িয়া ১ পঞ্চায়েত অফিসের পিছন দিকে ফুলিয়াপাড়া এলাকা থেকে পায়ের ছাপ মিলেছে। সেই এলাকা রয়েছে শান্তিপুর শহরের কাছেই। কয়েক দিন ধরে ওই এলাকায় সন্ধ্যার পর অজানা প্রাণীর ডাক শুনে স্থানীয়দের মধ্যে কৌতূহল ছড়ায়। এদিন সকালে এলাকার একটি জলাশয়ের ধারে বেশ কয়েক জায়গায় পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এরপর নতুন করে ওই এলাকার মানুষ কৌতুহলী হয়ে পড়েছেন। এলাকার কিছু বাসিন্দা আবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সন্ধ্যার পর হাতে লাঠি ও টর্চ নিয়ে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন। অনেকেই রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। কেউ কেউ সারারাত বাড়ির বাইরের লাইট জ্বালিয়ে রাখছেন। এদিন বনদপ্তরের কর্মীরা এলাকায় তল্লাশি চালান। পায়ের ছাপের পরীক্ষা করেন। বনদপ্তরের কর্মীরা গ্রামবাসীদের সচেতন করে বলেন এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই গুজব ছড়াচ্ছেন। গুজবে কেউ কান দিয়ে অযথা আতঙ্কিত হবেন না। পাশাপাশি প্রাণীটিকে দেখতে পাওয়া গেলে কেউ তাকে আঘাত না করার জন্য বনদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়।
বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারীদের পক্ষে অনুপম সাহা বলেন, এলাকার ওই জলাশয়ের ধারে প্রচুর পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে। পায়ের ছাপগুলি দেখে মোটামুটিভাবে বনদপ্তরের আধিকারিকরা একপ্রকার নিশ্চিত, এটা মেছো বিড়াল। এরা মানুষের ক্ষতি করে না। এখনও পর্যন্ত এলাকায় ওই প্রাণীর আক্রমণে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই। তাই এখনই সেটাকে ধরার কোনও পরিকল্পনা বনদপ্তরের নেই। স্থানীয় এক বাসিন্দা শ্যামল বসাক বলেন, প্রাণীটিকে চোখে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। আবার অন্ধকার হলেই ডাক শোনা যাচ্ছে বলেই সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। তবে এটা ঠিক এখনও পর্যন্ত সেই প্রাণীর আক্রমণে কোনও ক্ষতি কারও হয়নি।
গ্রামবাসীরা বলেন, দিন কয়েক ধরে চটকাতলা এবং ফুলিয়াপাড়া এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে মাঝেমধ্যে একটা গম্ভীর ডাক শোনা যাচ্ছে। আর্তনাদ করছে আজানা ওই জন্তু। বেশ কিছুক্ষণ একনাগাড়ে ডাকার পর আবার সম্পূর্ণ নিস্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে সেই প্রাণীটির ডাক। কিন্তু কোনও মানুষ সেই প্রাণীটিকে নিজের চোখে এলাকায় দেখেননি। অজানা এই প্রাণীর ডাক থেকে স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মধ্যে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি বাসিন্দারা এনিয়ে যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। বনদপ্তরের ওই কর্তা বলেন, প্রজনন কালে এই ধরণের জন্তু অদ্ভুতভাবে ডাকে। এটাও অস্বাভাবিক নয়।