বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
সোমবার দুপুরের পর থেকেই ওই এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়। ভাঙনের জেরে বিঘা খানেক জমি চলে যায় নদীগর্ভে। নদীর পাড়ে দাঁড়ালেই শোনা যাচ্ছে ঝুপঝুপ শব্দে মাটি খসে জলে পড়ার শব্দ। মাটির সঙ্গে গাছপালাও নদীর গর্ভে চলে গিয়েছে। গ্রামবাসীদের সেই দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া বিশেষ কিছুই করবার ছিল না। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে কমেছে নদী ভাঙনের দাপট। কিন্তু হঠাৎ যদি আবার ভাঙন শুরু হয় তারজন্য বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন। নদীর বাসিন্দারা এনিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। কার্যত রাতের ঘুম উড়ে গিয়ে সকলের। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই এলাকা এখন মোটেও নিরাপদ নয়। তাই আমরা সরে যাওয়ার জন্য আত্মীয়ের বাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করছি। প্রয়োজনে যাতে দ্রুত এলাকা ছেড়ে যেতে পারি।
যে এলাকায় সোমবার ভাঙন হয়েছে, সেখানেও একসময় চাষ করতেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে এখন সেটা পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এর আগেও ওই এলাকায় প্রচুর জমি ভাঙনের কবলে পড়ে তলিয়ে গিয়েছে। তলিয়ে গিয়েছে চাষের জমি, ইটভাটা, গাছপালা সহ আস্ত একটা মন্দির। এক গ্রামবাসী অলোক বিশ্বাস বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই এলাকায় নতুন করে আর নদী ভাঙন হয়নি। তবে আতঙ্কে নদীপাড়ের বাসিন্দারা সেখান থেকে উঠে যাওয়ার তৎপরতা শুরু করেছেন। আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করছি। তৎপরতার সঙ্গে সামনের বর্ষার আসার আগে ভাঙন নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে নতুন করে আরও বিপদের অপেক্ষা রয়েছে। তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিহারিয়া এলাকার বাসিন্দারা। কাজ দ্রুত শুরু হোক চাইছেন বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই এলাকা ছাড়াও শান্তিপুর ব্লকের শ্রীরামপুর, সূত্রাগড়, গয়েশপুর, গুপ্তিপাড়া ঘাট সহ বেশ কিছু এলাকায় নদী ভাঙন হয়। শান্তিপুর ব্লকের একাধিক এলাকা ভাঙন প্রবণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, নদীতে জল বাড়ার সময় ভাঙন হয়। তার চেয়ে ভয়ঙ্কর ভাঙন হয় যখন জল নেমে যায়। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, ভাগীরথীর মাঝখানটা যদি ঠিকমতো ড্রেজিং করা যেত তবে জলের স্রোত মাঝ বরাবর যেত। তাতে নদী পাড়ের এই ভাঙন অনেকটাই কম হতো। প্রশাসনের সেই দিকটি নজর দেওয়া দরকার। এমনিতে ভরা বর্ষায় ভাগীরথীর দু’পাড় ছাপিয়ে যায়। ভাগীরথীর মতো বড়, গভীর ও চওড়া নদীকে বাগে আনার চ্যালেঞ্জও কিছু কম নয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহারিয়া মঠপাড়া এলাকার উল্টো দিকে একটা চড়া রয়েছে। যার কারণে নদীর স্রোত আরও বেশি পাড়ের দিকে ধাক্কা খায়। এই এলাকা বাঁচানোর উপায় এখানে রিং বাঁধ তৈরি করা। যেটা প্রচুর ব্যয় সাপেক্ষ। বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক ধারণা, এখানে জলের ধাক্কা বেশি হওয়ার কারণে রিং বাঁধ ছাড়া বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া নিরাপদ নয়। গ্রামবাসীরা বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকাবাসীর দিকে নজর দিক সরকার।