বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বহরমপুরে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল বারেবারেই প্রকাশ্যে এসেছে। কয়েকদিন আগেই এক নেত্রী দলের জেলা নেতাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে পার্টি অফিসের সামনে ধর্নায় বসেন। সেদিন তাঁকে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ। দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জেলায় দলের গোষ্ঠী কোন্দল বহু দিন ধরেই রয়েছে। জেলা সভাপতি কে হবেন তা নিয়েও টানাপোড়েন চলছিল। গৌরীশঙ্কর ঘোষকে ফের জেলা সভাপতি ঘোষণা করার পর থেকেই দলের একটা অংশ ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে। যদিও নেতৃত্বের দাবি, এদিনের ঘটনার সঙ্গে গোষ্ঠী কোন্দলের কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের লোকজনই পরিকল্পনামাফিক হামলা করেছে। দলের নেতা তপন চন্দ্র বলেন, হামলার সময় অফিসে কেউ ছিলেন না। পার্টি অফিসে আমাদের একজন কর্মী সবসময় থাকেন। ঘটনার সময় তিনি ছাদে স্নান করছিলেন। তখনই তৃণমূলের লোকজন এসে হামলা করে। গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এই ঘটনা নয়। বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। পুলিস ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তৃণমূল নেতা অশোক দাস বলেন, বিজেপি দলের নিজেদের মধ্যেই লড়াই রয়েছে। ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই অফিসে ভাঙচুর হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কেউ যুক্ত নয়।
বিজেপি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিগত লোকসভা নির্বাচনে তারা বহরমপুর, লালবাগ, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জে ভালো ফল করেছে। সামনে পুরসভা নির্বাচনেও তারা এই তিনটি শহরে সাফল্য ধরে রাখতে চায়। তবে তাদের নিজেদের কোন্দল গেরুয়া শিবিরকে সমস্যায় রেখেছে। দলের অনেকেই মনে করছেন, টিকিট বণ্টন নিয়েও কোন্দল মাথাচাড়া দেবে। বিশেষ করে বহরমপুর শহরে নিজেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দলের এক নেতা বলেন, নিজেদের মধ্যে লড়াই বন্ধ না হলে সাফল্য পাওয়া খুব কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। জেলা নেতাদের মধ্যে আড়াআড়ি বিভাজন রয়েছে। সেকারণে রাজ্যের বিভিন্ন কর্মসূচিগুলিও ঠিকমতো পালন হয় না। এমনকী শহরে অভিনন্দন যাত্রাও পিছিয়ে দিতে হয়েছে। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিনন্দন যাত্রায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
এদিকে এদিন পার্টি অফিসে আদৌও তৃণমূল হামলা চালিয়েছে নাকি দলের অন্য গোষ্ঠী ভাঙচুর করেছে তা নিয়ে কর্মীদের অনেকেই ধোঁয়াশায় রয়েছেন। কর্মীদের অনেকেই বলছেন, দলের অন্দরমহলে অনেক দিন ধরেই ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। তারই বহিঃপ্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। হঠাৎ করে তৃণমূল পার্টি অফিসে কেন চড়াও হতে যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ এই শহরে তাদের মূল প্রতিপক্ষ কংগ্রেস। বিজেপি নেতা তপন চন্দ্র বলেন, পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজও রয়েছে। পুলিস সেসব দেখে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করলেই বোঝা যাবে হামলার পিছনে কারা জড়িত ছিল। সকালের দিকে অফিসে কেউ থাকে না। সেই সুযোগেই তৃণমূল হামলা করেছে। তৃণমূল নেতা অশোক দাস বলেন, ওদের নেতারা উন্মাদ হয়ে গিয়েছে। তাই ভুল বকছে। ওদের অফিসে আমাদের লোকজন হামলা করতে যাবে কেন? ওদেরকে আমরা প্রতিপক্ষ ধরি না। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগ হলে তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখা হবে।