বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
শান্তিনিকেতনের স্রষ্টা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৫সালের ৬মাঘ ৮৭বছর বয়সে পরলোক গমন করেন। সেই দিন ধরেই মঙ্গলবার শান্তিনিকেতনে পালিত হল তাঁর প্রয়াণ দিবস। এদিন সকালে উপাসনা গৃহে প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে মহর্ষি স্মরণে বিশেষ মন্দির করা হয়। সেখানে পাঠভবনের পড়ুয়াদের উপস্থিতির পাশাপাশি ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, পাঠভবন ও অন্যান্য ভবনের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মী আধিকারিকরা। সেখানে বেদ ও উপনিষদ থেকে মন্ত্রপাঠ, ব্রহ্মসঙ্গীত, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর সহ ঠাকুর পরিবারের সদস্যদের রচিত সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। তারপর প্রতিদিনের মতো ভবনের পঠন-পাঠনের প্রক্রিয়া চলে। তবে, এদিন ছুটির পর দুপুরের খাবারের বিশেষ আয়োজন করা হয়। অন্যান্য দিন পাঠভবনের আবাসিক পড়ুয়ারা যে ধরনের খাবার পেয়ে থাকেন তার থেকে এদিন সম্পূর্ণ আলাদা। অন্যান্য দিন ছাত্র ও ছাত্রীদের রান্নাঘর আলাদা থাকলেও এদিন একসঙ্গে সকলে মিলে হবিষ্যি গ্রহণ করে। পাঠভবনের মূল রান্নাঘরে এদিন সুন্দর করে আলপনার শুভ্র রঙে ও নানারকম সাজসজ্জার মধ্য দিয়ে সাজিয়ে দেওয়া হয়। তবে, এদিন আবাসিক পড়ুয়ারা ছাড়াও অনাবাসিক পড়ুয়া, পাঠভবনের শিক্ষক-শিক্ষিকারা দুপুরে হবিষ্যি গ্রহণ করেন। এদিনের মেনুতে থাকে গোবিন্দভোগ চালের ভাত, সমস্তরকম সব্জি দিয়ে ডাল, শুক্ত, আলু ও কুমড়ো সিদ্ধ সঙ্গে দই। পাঠভবনের উঁচু ক্লাসের পড়ুয়ারা নিজেরাই খাবার পরিবেশন করেন। দিনটি অত্যন্ত পবিত্র হওয়ায় মন্দিরে অংশগ্রহণের পাশাপাশি খাবার পরিবেশন করার সময় পড়ুয়ারা সাদা পোশাক পরিহিত থাকেন। পরে দুপুরে ছাতিমতলায় গান ও বক্তৃতার মধ্য দিয়ে মহর্ষিকে স্মরণ করা হয়। সেখানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পাশাপাশি রবীন্দ্র অনুরাগী ব্যক্তি ও আশ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন উপাচার্য, কর্মসচিব সহ আধিকারিক ও কর্মীরাও।
পাঠভবনের অধ্যক্ষা বোধিরূপা সিনহা বলেন, মহর্ষি বোলপুর শহরের উত্তর-পশ্চিমাংশে শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। তাই এই দিনটি আমাদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। সেই কারণেই নানাভাবে দিনটি পালন করা হয়। পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলেন। মহর্ষির জীবন দর্শন আগামীতে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎকে সুদৃঢ় করে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
পাঠভবনের শিক্ষক তড়িৎ রায়চৌধুরী বলেন, ১৯০৫সালের ১৯জানুয়ারি মহর্ষি পরলোকগমন করেছিলেন। বাংলা ক্যালেন্ডার হিসেবে সেই দিনটি ছিল ৬মাঘ। সেই হিসেবে এদিন তাঁর স্মরণ দিবস পালিত হয়ে আসছে।