বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
পরিস্থিতি বাগে আনতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিস। দীর্ঘক্ষণ পর দু’পক্ষ আলোচনায় বসে মিটমাট হয়েছে। গোটা ঘটনায় চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। কারণ, চৌখালিতে স্থানীয় বিধায়কের বাড়ি। বিধায়ক ঘনিষ্ঠরাই পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় আছেন। আর সেই পঞ্চায়েত অফিস দলীয় পতাকা নিয়ে তালাবন্ধ করে দেওয়া এবং বাইরে আগুন জ্বালিয়ে কয়েকশো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভে ঘুম ছুটে গিয়েছে শাসক দলের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এনআরসি এবং সিএএ ইস্যুতে বেশ কয়েকদিন ধরে চৌখালি পঞ্চায়েত এলাকায় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কোটবাড় ও রামপুর সহ আশপাশ এলাকার মানুষজনের মধ্যে পঞ্চায়েত অফিসে যাতায়াত বেড়ে গিয়েছে। মূলত নাম ভুল থাকলে তা সংশোধনের জন্য পঞ্চায়েত অফিস থেকে শংসাপত্র নিচ্ছেন। আবার অনেকেই বাসস্থানগত শংসাপত্র নিতে লম্বা লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। পঞ্চায়েত শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে মানুষজনের ক্ষোভ ছিল। এনিয়ে প্রতিবাদ করেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। তাই এদিন দলবেঁধে সকলে একযোগে বিক্ষোভে শামিল হন।
এদিন কোটবাড়ের পঞ্চায়েত সদস্য মতিউর রহমান, দলেরই কর্মী আমারুল আলি খান ওরফে বুলু, শেখ লতিফ ও শেখ সফিকুল সহ অনেক স্থানীয় নেতা-কর্মী ওই বিক্ষোভ আন্দোলনে শামিল হন। যদিও ওই ঘটনার নেপথ্যে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া রয়েছে বলে অনেকেই দাবি করছেন। চণ্ডীপুরে বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাচার্যের বিপক্ষ শিবির এদিনের কর্মসূচিতে মদত দিয়েছিল বলে অভিযোগ। বিধায়কের কাছের লোকজন ওই পঞ্চায়েতের সঙ্গে যুক্ত। আর সেজন্য অনেক অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ করেও কাজের কাজ না হওয়ায় এদিন জোটবেঁধে বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। তাতে মদত জুগিয়েছেন বিধায়ক বিরোধী শিবিরের নেতারা। দলের কর্মী আমারুল আলি খান বলেন, শংসাপত্র নিতে গড়িমসি করছিল পঞ্চায়েত। এছাড়াও আরও বেশকিছু অভিযোগ আছে। তাই আমরা সম্মিলিতভাবে এদিন বিক্ষোভ দেখিয়েছি। খবর পেয়ে বিডিও এবং বিধায়ক ঘটনাস্থলে যান। তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ভবিষ্যতে এধরনের ঘটনা হবে না বলে তাঁরা আশ্বস্ত করেছেন।
এদিন বিধায়ক অমিয়কান্তিবাবু বলেন, এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে আতঙ্কিত বেশকিছু মানুষজন নাম সংশোধনের জন্য শংসাপত্র নিতে পঞ্চায়েত অফিসে এসেছিলেন। মূলত সংখ্যালঘু মানুষজন এজন্য বেশি করে অফিসে এসেছিলেন। পঞ্চায়েতের শংসাপত্র জোগাড় করে ওরা ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া চলাকালীন জমা করবেন। এদিন প্রধান ছিলেন না। অনেকেই জড়ো হয়েছিলেন। তারপর ওরা একটু ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আমি এবং বিডিও দু’জনেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ওদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আর কোনও সমস্যা নেই।
চৌখালি পঞ্চায়েতের প্রধান সোমা পণ্ডা দাস বলেন, শংসাপত্র দেওয়ার সময় কিছুক্ষেত্রে ভেরিফিকেশন প্রয়োজন হয়। সেজন্য পরে আসার কথা বলেছিলাম। তাতে অনেকের ধৈর্য্যচ্যুতি হয়েছে। তবে, শংসাপত্র দেওয়ার জন্য টাকা চাওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও ঠিক নয়।