পেশাদারি ও ব্যবসায়িক কর্মোন্নতি ও ধনাগম যোগ। শারীরিক সমস্যায় মানসিক অশান্তিভোগ। আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
নকশালবাড়ি ব্লক ও পুলিস প্রশাসনের নজর এড়িয়ে বিক্রি হয়ে গিয়েছে সাতভাইয়া ও সুরজবর এলাকার খাসজমি। সাতভাইয়ায় গড়ে উঠেছে একাধিক কংক্রিটের একতলা ভবন সহ শতাধিক ঝুপড়ি। এতে প্রশাসনের পক্ষে তাদের সরিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেখানে সরকারি জমি প্রতি কাঠা প্রায় এক থেকে দুই লক্ষ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এদিকে, সুরজবরে খাসজমির পাট্টার নামে ১০০ জন কৃষকের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে তুলেছে জমি মাফিয়ারা। একই সঙ্গে গোর্খা ব্যাটালিয়ন তৈরির প্রশাসনিক উদ্যোগ শুরু হতেই সরকারি জমি প্লট করে বিক্রি করা হচ্ছে। এখানে কাঠা পিছু জমির দাম প্রায় এক লক্ষ টাকা বলে অভিযোগ।
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, সুরজবর এলাকায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা ১৫ বিঘা খাসজমি প্লট করে বিক্রি শুরু করছেন। ভূমি সংস্কার দপ্তরের সঙ্গে ওই নেতার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। একইসঙ্গে স্থানীয় এক পুরোহিতও জমির কারবার করছেন। জমির বেআইনি কারবার করে অভিযুক্তরা ফুলেফেঁপে কলাগাছ হয়ে উঠেছে।
যদিও নকশালবাড়ির বিডিও অরিন্দম মণ্ডল বলেন, সুরজবরে জমি নিয়ে কোনও অভিযোগ পাইনি। সাতভাইয়া এলাকার খাসজমির দখলের বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। এখন তারা যা নির্দেশ দেবে, সেই মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নকশালবাড়ি বিএলএলআরও বিপ্লব হালদার বলেন, এনিয়ে কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে জমিজটে মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবিত রাজ্য পুলিস ট্রেনিং সেন্টার প্রকল্প কার্যত বিশবাঁও জলে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য পুলিসের তিনটি ব্যাটালিয়ন গঠন করার সিদ্ধান্ত নেন। এতে নকশালবাড়িতে গোর্খা ব্যাটালিয়ন, কোচবিহারে নারায়ণী ব্যাটালিয়ন ও ঝাড়গ্রামে জঙ্গলমহল নামে তিনটি ব্যাটেলিয়ন গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। একইসঙ্গে নকশালবাড়িতে পুলিস ট্রেনিং সেন্টার গঠনের প্রস্তাব রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। এজন্য সুরজবরে গোর্খা ব্যাটালিয়নের জন্য ৩০ একর ও পুলিস ট্রেনিং সেন্টার জন্য ৭৫ একর জমি ধরে নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে ব্যাটালিয়নের জমি চিহ্নিত করা হলেও ট্রেনিং সেন্টারের জন্য জমিই অধিগ্রহণ করতে পারেনি প্রশাসন। সেই জমি অধিগ্রহণ করতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বাধা দেন। ভারত-নেপাল সীমান্ত মেচি নদীর ধারে সুরজবর এলাকায় ওই জমি অবস্থিত।
নকশালবাড়ি বিডিও বলেন, ইতিমধ্যে গোর্খা ব্যাটালিয়নের জন্য ৩০ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে পুলিস ট্রেনিং সেন্টার জন্য ৭৫ একর জমি অধিগ্রহণের নির্দেশিকা আসেনি।